পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ‘নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র’র বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম কিউ কে তালুকদারকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয় অধ্যাপক (নিয়োগ, শর্তাবলি ও সুবিধাদি) সিদ্ধান্তমালা-১৯৮১ অনুযায়ী, অধ্যাপক ডা. এম কিউ কে তালুকদারকে পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদার বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য পুষ্টির একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
তিনি সত্তরের দশকে যুক্তরাজ্যে ক্লিনিক্যাল পেডিয়াট্রিক্সে (শিশুরোগ) প্রশিক্ষণ লাভ করেন এবং বাংলাদেশে ফিরে এসে তৎকালীন আইপিজিএমআরে (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) শিশুরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৮০-এর শেষ থেকে মাতৃদুগ্ধ পানের পক্ষে প্রচারের নেতৃত্ব দেন। এটি বর্তমানে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনে (বিবিএফ) রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি ২০১০ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিবিএফের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।
২০০১ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে অধ্যাপক তালুকদার আশুলিয়ায় প্রাথমিকভাবে গার্মেন্টকর্মী ও তাদের শিশুদের জন্য অলাভজনক হাসপাতাল ‘নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি জনস্বাস্থ্য গবেষণা এবং পুষ্টি নিয়ে জাতীয় নীতির সমর্থনে গবেষণার কাজে যুক্ত।
অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদারের জন্ম ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জে। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে পিএইচডি এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত আরো কিছু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।