পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন মানি চেঞ্জারে অভিযান চালিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি অবৈধভাবে ডলার মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডলার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণ করা হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালকদেরও (এমডি) শোকজ করা হয়। এরপরও স্বাভাবিক হচ্ছে না বাজার।
খোলাবাজারে ফের বাড়ছে ডলারের দর। গতকাল সোমবার খোলাবাজারে প্রতি ডলারের জন্য ১১১ টাকা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এর একদিন আগে গত রোববার এই দর ছিল ১১০ টাকা ৩০ পয়সা। তবে ব্যাংকগুলোতে দুই সপ্তাহ ধরে একই দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। ১০৪ থেকে ১০৬ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো, রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায়। আমদানিকারকদের কাছে এলসি (ঋণপত্র) খুলতে নিচ্ছে ১১২ থেকে ১১৪ টাকা পর্যন্ত।
খোলাবাজারে পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা ডলারের দর বাড়তে বাড়তে গত ১০ আগস্ট ১২০ টাকায় পৌঁছায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযানের মুখে নিম্নমুখী হয় দর। একপর্যায়ে কমে তা ১১০ টাকার নিচে নেমে আসে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১০ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে ডলার।
তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনেই আবার বেড়ে যায় দাম। গত রোববার খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১১০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল তা আরও বেড়ে ১১১ টাকায় ওঠে। জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী বলেন, মাঝে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেশ বেড়েছিল। এখন আবার কমে গেছে। এখন মানুষ বিক্রি করে কম; কিনতে আসে বেশি। সে কারণেই দাম আবার বাড়ছে। সোমবার আমরা ১১০ টাকা ২০ থেকে ৩০ পয়সা দরে ডলার কিনেছি। আর বিক্রি করেছি ১১১ টাকায়।
অন্যদিকে ৯৫ টাকায় ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটাকে আন্তব্যাংক বা ইন্টারব্যাংক রেট বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই রেট তিন মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল। ব্যাংকগুলো এখনও এই দরের চেয়ে ৯ থেকে ১১ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আমদানি ঋণপত্র খুলতে নিচ্ছে আরও বেশি।
বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে আমেরিকান মুদ্রা ডলারের দৌড় থামাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত (১ মাস ২৫ দিন) ২০৪ কোটি (২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এরপরও বাজারে ডলারের সঙ্কট কাটছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।