Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০২ এএম

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। এর মাধ্যমে শেষ নয় কার্যদিবসের মধ্যে আট কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার। সূচকের টানা উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গতকাল রোববার ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এতে বাজারটিতে চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। শুধু চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন নয়, ডিএসইতে ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিরটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৩০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। ফলে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে লেনদেনের শেষদিকে বিক্রির চাপ বাড়ায় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে কমে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকাও ছোট হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ২১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০২টির। আর ৬১টির দাম অপরিবর্তিত।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪০১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩২৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে চলতি বছরে প্রথমবারের মতো দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।
শুধু চলতি বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন নয়, ডিএসইতে ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর ডিএসইতে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এরপর গত ১১ মাসে ডিএসইতে আর এতো লেনদেন হয়নি।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১০৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৮ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-মালেক স্পিনিং, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ইস্টার্ণ হাউজিং, ম্যাকসন স্পিনিং, কপারটেক এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৮০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬টির এবং ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ