পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চা-বাগান শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চা-বাগান মালিকদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত আসে। বৈঠকে ১৩ জন চা-বাগান মালিক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের আশা প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের পক্ষ হয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে মজুরি বাড়াবেন। সেটাই তিনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ থেকে সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শিগগিরই চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করবেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটু ব্যাখ্যা করা দরকার। চা শিল্পে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। সেটা মালিকপক্ষ বহন করে। দৈনিক নগদ মজুরি যেটা ১৭০ টাকা হয়েছে, তার সঙ্গে প্লাকইন বোনাস, বার্ষিক ছুটি ভাতা, উৎসবভাতা ইত্যাদি আনুপাতিক হারে বাড়বে। ভর্তুকিমূল্যে রেশন, চিকিৎসা সুবিধা, অবসরপ্রাপ্ত চা শ্রমিকদের পেনশন, পোষ্যদের শিক্ষা বাবদ ব্যয় সব মিলিয়ে হয়তো দৈনিক ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পড়বে।
১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬ চা-বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন চা-বাগানের শ্রমিকরা।
চা-শ্রমিকরা ধর্মঘট পালনের পাশাপাশি বুধবার মৌলভীবাজারে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। শ্রীমঙ্গলে সাতগাঁও চা-বাগানের চা কারখানার সামনের মহাসড়কে তারা অবস্থান নেন। জেলার বড়লেখায় শ্রমিকরা দুপুরে দুটি স্থানে আঞ্চলিক মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। সিলেট ও হবিগঞ্জে দাবি আদায়ে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চা-বাগানের শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে থাকা চা-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তার দাবি জানান শ্রমিকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।