পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বাজারে আরেক দফা বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ৫ থেকে ৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৮ থেকে ১২ টাকা বেড়েছে। খোলা ময়দা ২ থেকে ৫ টাকা আর প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা।
গম আমদানি ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডলারের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে আমদানি খরচ। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে সব পর্যায়ে পরিবহন ভাড়ার বাড়তি চাপ পড়েছে। এ ছাড়া লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহে এক দিন কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। এসব বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করে আটা ও ময়দার দাম আরেক দফা সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
কানাডা বাদে বাংলাদেশের গম আমদানির প্রধান উৎস রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত এপ্রিল থেকে বিশ্ববাজারে গমের অস্থিরতা শুরু হয়। তখন বাংলাদেশেও গম আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশে দফায় দফায় গমের দাম বাড়তে থাকে। এরপর ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে আরও বেসামাল হয়ে ওঠে আটা ও ময়দার বাজার।
তবে যুদ্ধের কারণে দীর্ঘদিন ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে গম আসা বন্ধ থাকলেও দেশ দুটি থেকে এখন আমদানির পথ খুলছে। অন্যদিকে, বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশে এর কোনো সুফল নেই। উল্টো দিন দিন বেড়েই চলছে আটা ও ময়দার দাম।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, নাখালপাড়া, তেজকুনিপাড়া, হাতিরপুলসহ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি খোলা আটা ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬২ থেকে ৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে, খোলা ময়দার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও প্যাকেটজাত ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে ৭৪ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে খোলা ময়দা ৫৮ থেকে ৬০ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় কেনা যেত।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনন্দিন বাজার দরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে খোলা আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, খোলা ময়দার কেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা এবং প্যাকেটজাত ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুসারে এক মাসের ব্যবধানে খোলা আটার দাম ২৩ শতাংশ ও প্যাকেটজাত আটার দাম ১৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর খোলা ময়দার দাম ৮ শতাংশ ও প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি। তবে এক বছরের ব্যবধানে খাদ্যপণ্য দুটির দাম বাড়ার হার আরও বেশি। এ সময় আটার দাম সর্বোচ্চ ৬৬.৬৭ শতাংশ এবং ময়দার দাম ৫৩.৪১ শতাংশ বেড়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এই অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বেসরকারিভাবে গম আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৯০ টন। বর্তমানে দেশে সরকারি গমের মজুদ রয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার টন।
এ ব্যাপারে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্টসের বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. রেদওয়ানুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও ডলারের দাম বাড়ার কারণে আগস্টের শুরুর দিকে একবার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে আমদানি থেকে সরবরাহ সব পর্যায়ে খরচ বেড়েছে। ফলে দাম সমন্বয় না করে উপায় নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।