পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
এখন যদি আমদানি ওপেন করে দেওয়া হয়, অনেকে পথে বসবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন দিকে ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু আপনারা সিন্ডিকেট করছেন। সেজন্য জনগণের কাছে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কোম্পানি ডিমের দাম অবৈধভাবে বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে। আড়তদাররাও করেছেন। কেউ বলেছেন, দাম নির্ধারণের ক্ষমতা তাদের যে নেই, সেটা তারা জানতেন না। আইন না জানলে ব্যবসা করার দরকার নেই।
গতকাল বুধবার অধিদফতরের সভাকক্ষে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে উৎপাদনকারী ফার্ম ও করপোরেট প্রতিষ্ঠান, এজেন্ট, ডিলার ও ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ডিম নিয়ে যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। এর পেছনে কে বা কারা আছেন, সেটা খুঁজে বের করবো। এ কালোহাত যেন আর কখনো না বাড়তে পারে, সেই ব্যবস্থাও নেবো।
সফিকুজ্জামান বলেন, যখন জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, তখন একটি ডিমে ২০-৩০ পয়সা খরচ বেড়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম এক রাতে তিন টাকা বাড়ানো হয়েছে। এটা একদম অস্বাভাবিক। আপনারা বলতে পারবেন না যে, সিন্ডিকেট করেননি।
এসময় কাজী ফার্মের প্রসঙ্গ টেনে মহাপরিচালক বলেন, পরিবহন সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কয়েকদিনে তাদের ডিমের দাম তিন টাকা বেড়েছে। এ বাড়তি দামে কাজী ফার্মের যে দরদাতা, সেই ফয়সালকে আজ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। তিনি আসেননি। নাকি তাকে আসতে দেওয়া হয়নি? এরমধ্যেও অদৃশ্য হাত আছে। সেটা চিহ্নিত করতে বসেছি।
এসময় কাজী ফার্মস গ্রুপে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, আমরা যে ডিমের অফার প্রাইজ দেই, সেটি নির্ধারিত নয়। তার থেকে কম দামেও বিক্রি হয়। সেসময় যিনি অস্বাভাবিক বিট দেন, তিনি ট্রেডার্স। সেটা তার ব্যাপার। আমরা চায় বড় ট্রেডার্স আমাদের ডিম কিনুক। তাতে খরচ ও ঝামেলা কম। কিন্তু একদিনে ফয়সাল দুই টাকা বেশি দামে ডিম কিনেছেন। সেজন্য ডিমের দাম অস্থিতিশীল হয়েছে, এটা ঠিক না।
জাহেদুল হাসান বলেন, ‘আপনাদের (ভোক্তা অধিদফতরের) কর্মকাণ্ডে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ভয় পাচ্ছি। এ খাতের ক্ষতি হবে। আপনাদের অভিযানের কারণে আমাদের কনফিডেনসিয়াল তথ্য মিডিয়ার সামনে আসলো। আবার ফয়সালকে ভুল ধারায় মামলা করলেন। তার চারটি মামলার সবগুলো ভুল ধারায়। আমরা যে মাসের পর মাস লস করেছি, সেটা আপনারা দেখেননি।
এসময় তার কথার প্রসঙ্গ টেনে সফিকুজ্জামান বলেন, সব ব্যবসায়ী শুধু লস করে। কাউকে কখনো লাভ করতে শুনিনি। যেন আপনারা শুধু মানবসেবায় করে যাচ্ছেন।
কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, বৈঠক ও অভিযানের মাধ্যমে আমরা যেসব তথ্য পেয়েছি, সেগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন আকারে জমা দেবো। এরপর যথাযথ কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা নেবেন। বিগত সময় তেল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রতিযোগিতা কমিশন বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে আটটি মামলা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।