পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) জুলাই মাসে ১৬ হাজার ৫২০ দশমিক ৪৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে অর্থবছরের প্রথম মাসে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ৬৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা কম। এনবিআর জুলাই মাসে ২০ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। যা লক্ষ্যমাত্রার ৮০ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের (২০২১-২২) একই সময়ে ১৫ হাজার ৩৪৪ দশমিক ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল এনবিআর। অবশ্য গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে প্রথম মাসে। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জণ করতে হলে বাকি এগারো মাসে আরও ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ পাড়ি দিতে হবে।
এছাড়া রাজস্ব আদায়ের প্রধান তিন খাতের মধ্যে দুটিতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আয়কর ও ভ্রমন কর আদায়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে সফলতা দেখিয়েছে এনবিআর।
চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জণ করেছে এনবিআর। যা গত অর্থবছরে ছিল ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ে গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আদায় গত অর্থবছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমেছে। এছাড়া আয়কর ও ভ্রমন কর আদায় গত অর্থবছরের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ৬ কোটি টাকা বেড়েছে।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৮০ দশমিক ২৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। গত বছর একই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার ৭৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জণ করতে পেরেছিল এনবিআর।
চলতি অর্থবছরে এনবিআর ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রায় ১২ দশমিক ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত ৫ বছরে এনবিআরের প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুবিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের আমদানি ও রফতানি পর্যায়ে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে জুলাইয়ে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। তবে এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬২ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা বেশি আহরণ করেছে রাজস্ব বোর্ড। জুলাই মাসে এ খাতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৬ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে যা লক্ষ্যমাত্রা আদায়ের ১০০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এ খাতে রাজস্ব আহরনের পরিমান ছিল ৪ হাজার ৯১৪ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে ৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জণ করেছে এনবিআর। অবশ্য পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখনও ৯৩ দশমিক ৯০ শতাংশ পিছিয়ে আছে সংস্থাটি। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রার ৬ দশমিক ১০ শতাংশ আদায় সম্পন্ন হলো।
চলতি অর্থবছরের স্থানীয় পর্যায়ে মূসক আদায়ে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে অর্থবছরের প্রথম মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ৮ হাজার ২১৪ কোটি টাকা। অথচ এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ঘাটতি ৩ হাজার ১৯২ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা। এ খাতে জুলাই মাসে এনবিআর মোট আদায় করতে পেরেছে ৫ হাজার ২১ দশমিক ৬২ কোটি টাকা। জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জণের হার ৬১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর আগে গত অর্থবছরের একই মাসে এ খাতে রাজস্ব আহরণের পরিমান ছিল ৫ হাজার ৬৯৭ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই মাসে ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ রাজস্ব আদায় কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ পিডিছয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রার ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ আদায় সম্পন্ন হলো।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আয়কর ও ভ্রমন কর আদায়ে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল এনবিআর। তবে অর্থবছরের প্রথম মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। তবে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯৩৫ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা কম আদায় করেছে রাজস্ব বোর্ড। জুলাইয়ে আহরিত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭৩২ দশমিক ১৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার ৮৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ৪ হাজার ৭৩২ দশমিক শূন্য ৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ পিডিছয়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস শেষে লক্ষ্যমাত্রার ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ আদায় সম্পন্ন হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।