পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশে ডলার নিয়ে অস্থিরতা কিছুটা সহনীয় হলেও এ নিয়ে কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুরুর দিকে খোলাবাজার ও এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে অভিযান চালিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। এবার অর্থপাচারে জড়িত সন্দেহে ২৮টি মানি চেঞ্জারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবারের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসেব জমা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ডলার বেচাকেনায় কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।
তথ্যমতে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ৬০২টি মানিচেঞ্জারের লাইসেন্স দিলেও বর্তমানে ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের বৈধতা রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করেছে। লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা করায় নয়টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এবং ৪২টি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট তলব করা হয়েছে।
যেসব মানি চেঞ্জারের হিসাব তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো- নিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জ, সিটি মনিটারি এক্সচেঞ্জ, বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ, মনডিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ, নাবিলস মানি চেঞ্জার, হিমালয় ডলার মানি চেঞ্জার, ক্যাপিটাল মানি চেঞ্জার, মেট্রো মানি এক্সচেঞ্জ, ডিপেনডেন্ট মানি চেঞ্জার, ঢাকা মানি চেঞ্জার, লর্ডস মানি চেঞ্জার, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ, ডিএন মানি চেঞ্জার, অংকন মানি এক্সচেঞ্জ, বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ, বিনিময় মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জ, কুমিল্লা মানি এক্সচেঞ্জ, এএসএন মানিচেঞ্জার, বিকেবি মানি এক্সচেঞ্জ, কেয়া মানি চেঞ্জার, আলফা মানি এক্সচেঞ্জ, ক্রিস্টাল মানি এক্সচেঞ্জ, দি লিয়াজোঁ মানি এক্সচেঞ্জ, উত্তরা মানি চেঞ্জার, বিজয় মানি এক্সচেঞ্জ ও বিজয় ইন্টারচেঞ্জ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক অভিযানে যাদের ভুলত্রুটি পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আবার প্রয়োজনে সময় নিয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, বিভিন্ন মানিচেঞ্জারের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক কোনো লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডলার কেনাবেচায় কোনো কোনো মানিচেঞ্জার অস্বাভাবিক মুনাফা করেছে, তাও দেখা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্সের পাশাপাশি নগদ ডলারের দর অনেক বেড়েছে। গত ১০ আগস্ট খোলাবাজারে ডলারের দর সর্বোচ্চ ১১৯ টাকায় ওঠে। এখন দর কিছুটা কমেছে। গতকাল খোলাবাজারে ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় ডলার বেচাকেনা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে দিনশেষে ২৫ হাজার ডলারের বেশি থাকলে তা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ডলার বেচাকেনা, কত ডলার বেচাকেনা তার তথ্য নিয়মিতভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দিতে হয়। তবে ব্যাংকের মতো এসব প্রতিষ্ঠানে জোর তদারকি না থাকায় অনেক মানি চেঞ্জার নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।