Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন খালেদা জিয়া

শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে তাঁর এক্স-রে, ইকো, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরোজায় ফেরেন বিএনপি প্রধান।

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গত ১১ জুন তাঁর এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছিল, যেটাকে আপনারা রিং পরানো বলেন। এরপর কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য সমস্যার নিয়মিত পরীক্ষাগুলো করা হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সোমবার কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এনজিওপ্লাস্টি করার র গত ২৪ জুন বেগম খালেদা জিয়া বাসায় ফিরেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর মেডিকেল চেকআপ করার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে উনাকে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিনি মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানেই বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। প্রতিদিনই কোন না কোন চিকিৎসক উনার বাসায় গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ডা. জাহিদ বলেন, উনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে রিপোর্ট পাওয়ার পর সর্বশেষ অবস্থা ও অগ্রগতি জানাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, উনার ক্রনিক লিভার ডিজিজ আছে, হার্টের সমস্যার কথা বার বার বলেছি। তিনটি ব্লক আছে, এর মধ্যে যেটি ৯০ ভাগ ব্লক ছিল সেটি এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে। যেটার কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। বাকী দুটো এখনো রয়েছে। এর একটি ৭০-৮০ ও অন্যটি ৬০ ভাগ ব্লক আছে। ওই সময় তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে একটিই করা হয়েছে। এখন বাকী দুটি উন্নত সেন্টারে নিয়ে করানো প্রয়োজন।

চিকিৎসকরা আবারও উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করেছে জানিয়ে খালেদা জিয়ার এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আগেও যেটি বলেছিল এখনো সেটিই বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উনাকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে কিন্তু কোন ফল হয়নি। সোমবারও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে উন্নত চিকিৎসার কথা বলেছেন। রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা আবারও পরবর্তী নির্দেশনা দিবেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন, প্রফেসর ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা. নূরুদ্দিন আহমেদ, ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. ফরিদ আহমেদ।
এর আগে অসুস্থ হয়ে টানা দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৪ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ১০ জুন গভীর রাতে হৃদ্রোগের সমস্যা নিয়ে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়। চিকিৎসকেরা তখন তাঁর হৃদ্যন্ত্রে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও জানিয়েছিলেন।

গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর জুন পর্যন্ত তাঁকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে কারাবন্দী হয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ