পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
খোলা বাজারে মার্কিন ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে শক্তি ফিরে পাচ্ছিল টাকা। গত শনিবারও খোলা বাজারে প্রতি ডলার ১০৭ থেকে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছিল। তবে গত রোববার ও গতকাল সোমবার ফের কিছুটা বেড়েছে মার্কিন মুদ্রাটির দাম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, খোলা বাজারে প্রতি ডলার কিনতে ১১০ টাকা খরচ করতে হয়েছে ক্রেতাদের।
রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও গুলশান এলাকার একাধিক মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা জানান, তারা ডলার ১০৯ পয়সায় কিনে ১১০ টাকায় বিক্রি করছেন। অবশ্য আন্ত ব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী, এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও এখন ১০৪ থেকে ১০৫ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।
দুই সপ্তাহ আগে ডলারের দর এক লাফে ১২০ টাকায় উঠে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণে এর পর থেকে টাকার বিপরীতে প্রতিদিনই কমেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করায় ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সঙ্গে অন্য ব্যাংকগুলোকেও নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। তাতে খোলা বাজারে কারসাজি বন্ধ হয়ে যায়, বাড়তে থাকে টাকার মান। তবে গত দুই দিনে আবার টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে।
ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম আশার কথা শুনিয়ে বলেছেন, শিগগিরই ডলারের সঙ্কট কেটে যাবে। বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ইতোমধ্যে কার্ব মার্কেটে বেশ খানিকটা কমে এসেছে। সুখের খবর হচ্ছে, আমদানি কমতে শুরু করেছে। রফতানির পাশাপাশি রেমিটেন্সও বাড়ছে। শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।