Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলীয় এমপি, কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন দলীয় সংসদ সদস্য হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন, সুতরাং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে বিদেশে গিয়ে কিছু বলা, সে দায়িত্ব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউকে দেয়নি, তাকে দেয়নি।

বলা হচ্ছে, দল বা সরকারের পক্ষ থেকে এ কে আব্দুল মোমেনকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি অন্য কোনও দেশে সফরকালে দেওয়া বক্তব্যের জন্য মন্ত্রিসভার দায় কেন থাকবে না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনি বলেছেন এই বক্তব্য যখন গণমাধ্যমে এলো, যেটি তিনি চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীতে গিয়ে বলেছেন, কয়েকদিন তিনি বলেছেন যে তার বক্তব্য ডিস্টার্টেট হয়েছে। ডিস্টার্টেট হোক কিংবা যাই হোক, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন তার বক্তব্য ডিস্টার্টে। কেউ যদি বিদেশে গিয়ে কারও সঙ্গে গল্প করে আসে, সেটির দায়দায়িত্ব সরকারের কিংবা দলের নয়। আমাদের দলের ভিত জনগণ। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বলীয়ান। আমরা জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করি। জনগণের রায় নিয়েই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় সরকার পরিচালনা করেছে এবং ক্ষমতায় গেছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি জনগণ ছাড়া অন্য কেউ সরকার টিকিয়েও রাখতে পারে না এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্বও দিতে পারে না। কেউ যদি কারও সাথে গিয়ে গল্প করে আসে, সেটির দায় দায়িত্ব তো সরকারের নয়। আমাদের সরকার কিংবা দল এরকম দায়িত্বও কাউকে দেয়নি। কেউ ব্যক্তিগত গল্প করে এলে সেটির দায় দায়িত্ব তার। এটি সরকার কিংবা দলের নয়।

তিনি বলেন, প্রথমত ক্যাবিনেট মিনিস্টার কোনও দেশে গেলে অফিসিয়াল কিংবা আনঅফিসিয়ালি লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। আমরা যখন বিদেশে যাই সেখানে অফিসিয়াল প্রোগ্রামও থাকে আনঅফিসিয়াল প্রোগ্রামও থাকে। তখন হয়তো অনেকের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়। উনি ব্যক্তিগতভাবে কার সাথে কি বলেছেন, সেটার দায়ভার সরকার কিংবা দলের নয়। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও নেতা নয় যে দলের পক্ষ থেকে বিদেশে গিয়ে কথা বলবেন, তা নয়। হাছান মাহমুদ বলেন, বরং বিএনপি, তারা প্রতিনিয়ত একবার ছুটে যায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরেকবার ছুটে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আরেকবার ছুটে যায় চীনে, আরেকবার ভারতে। আবার কখন যে ভুটানের কাছে যায় সেটা জানি না। এজন্য বিএনপিকে মানুষ বলছে নালিশ পার্টি। বিএনপি বরং দেশের জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না, বিদেশিদের কাছে প্রতিনিয়ত ধরনা দিচ্ছে, যে তাদের যেন কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। এ দেশে কেউ কাউকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারবে না।

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্য ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে সমালোচিত হচ্ছেন, এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকলে দায়িত্বশীলভাবে কথা বলা দরকার। আমি নিজেও কথা বলার সময় খুব সতর্ক থাকি। তিনি বলেন, গত ২০০৪ সালের ভয়াল ২১ আগস্টে ঢাকায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হাওয়া ভবন ও তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। যুক্তরাজ্যের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে এ ব্যাপারে। তাদের যেহেতু নিজস্ব কিছু আইন আছে, সেখানে কিছু অবলিকেশন আছে, তাদের সঙ্গে চুক্তি... এসব বিষয়যুক্ত। এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ