পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মশার উপদ্রব বেশি পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তেও লাগাম টানতে পারছে না সরকার। এমনকি আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু উপদ্রব থাকার শঙ্কা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মশকবিরোধী অভিযান জোরদার রাখার পরামর্শ তাদের।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্বের জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তারা এ কথা বলেন। এসময় অভিযান জোরদার করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ রাখার পরামর্শ দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এডিসের লার্ভার উপস্থিতি বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই এই আগস্ট মাস ও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে যায়। এরপর এডিস মশার প্রভাব কিছুটা কমে আসে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা প্রতিবছর তিনটি জরিপ করে থাকে। এই জরিপগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রি মনসুন, মনসুন ও পোস্ট মনসুন জরিপ। আজকে যে জরিপ হয়েছে তা হচ্ছে মনসুন সার্ভে।
অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, এই জরিপের আজকে অষ্টম দিন। এখানে ওয়ারী এলাকায় দুটি বাসা আর একটি রেস্টুরেন্টে জরিপ করা হয় দুপুর পর্যন্ত। দুটি বাসারই বেজমেন্টে জমা পানিতে লার্ভা পাওয়া গেছে প্রচুর। যার মধ্যে এডাল্ট লার্ভাও ছিল অনেক। রেস্টুরেন্টেও প্রায় একই অবস্থা। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব কমবে না।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমাদের বছরে যে তিনটি জরিপ হয় তা আমরা একসঙ্গে করে সিটি কর্পোরেশনকে দেই। এরপর সিটি করপোরেশন এই অনুসারে বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন কারণে পরিত্যক্ত বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখভাল ভালোভাবে হচ্ছে না। এতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যে এডিসের ঘনত্ব ও সংখ্যা দেখেছি এটি অনেকটাই উদ্বেগজনক।
ডেঙ্গু রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে সেটা আমাদের জন্য ভালো উল্লেখ করে নাজমুল ইসলাম জানান, এতে করে বেশি রোগীদের শনাক্তের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা দিতে পারছি। এছাড়া যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ পাড়া মহল্লার ফার্মেসি থেকে কিনে খাচ্ছেন সেটা রোগীর জন্য বিপদজনক।
তিনি আরও বলেন, এডিস মশা যেহেতু সংক্রমিত মশা। এতে এক রোগী থেকে অন্যজন সংক্রমিত হয়ে থাকে। তাই আমরা আহ্বান জানাব সিটি করপোরেশনকে এই বিষয়টি আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। আমরা আশা করছি তারা এই কাজ করছেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে এই কাজ আরো ফলপ্রসূ হবে।
ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার ঘনত্বের জরিপ শুরু হয়েছে। জরিপে রাজধানীর ওয়ারী এলাকার দুটি বাসা ও রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা। যেসব জায়গায় লার্ভা পাওয়া গেছে সেখানে ছিটানো হয়েছে ওষুধ। জরিপ চলবে আরো ২ দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।