পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রত্যেক ধর্মগোষ্ঠীর সমানাধিকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা পরিষদ মুক্তমঞ্চে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিরল জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক যে দৃষ্টিভঙ্গি- সমধিকার বা সবার অধিকার নিশ্চিত করা, সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোর পথে হাটা শুরু করেছি আমরা।’
প্রত্যেক ধর্মই মানবিকতার কথা বলে-একথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম মানুষকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখে। মানুষকে সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে ধর্ম পথ দেখায়। আর এই অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই জনপদে মুসলিম, সনাতন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষকে একত্রিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে গর্ব করার মতো সংবিধান আমাদের ৭২ এর সংবিধান। যে সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এর রূপকার হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিলো দেশ। এই দেশের ধর্মকে দিয়ে বিভাজন তৈরি করা হয়। মানুষে মানুষে বিভাজন, শ্রেণী বৈষম্য তৈরি করা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজকে পুঁজি করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী গোষ্ঠী এই কাজটি করেছিল।
খালিদ মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনার সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই আজকে দেশ পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশের মানুষের এখন মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প তৈরি করা হয়েছিল, আজকে ধীরে ধীরে সেগুলোকে দূর্বল করে দেয়া হয়েছে। এটাই হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
বিরল জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকিল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ কুমার রায় বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন দিনাজপুরের রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দজী মহারাজ।
বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে প্রতিমন্ত্রী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন (বীর নিবাস) নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।