পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বর্তমানে দেশে ডলারের ব্যাপক সঙ্কট চলছে। দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে এ সঙ্কট। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ডলার ব্যবসায়ী কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েছেন। এ অনিয়ম দূর করতে সম্প্রতি দেশের ব্যাংকগুলোকে ডলার বিক্রির লাভে সীমা বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সেই সীমা বেঁধে দেওয়া হলো দেশের মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে। এখন থেকে মানি এক্সচেঞ্জ যে দামে ডলার কিনবে, তার চেয়ে ১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৫০ পয়সা বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে। ডলারের বাজার স্থিতিশীল করতে মুনাফার এ সীমার কথা মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খোলা বাজারে। গতকাল বুধবার ১০৮ টাকায় ডলার কিনে ১০৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে মুদ্রাটি।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চলমান অস্থিরতা নিয়ে গতকাল মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সঙ্গে মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো যে দামে রেমিটেন্স ও রফতানি বিল আনবে তার থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা বেশিতে ডলার বিক্রি করবে। এ ব্যাপারে তারা নীতিগত একটা সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তেমনি মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন সঙ্গে মিটিং করে একই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের গড় রেট থেকে তারা এক টাকা বাড়তি দামে ডলার কিনবে। পরবর্তী সময়ে বিক্রির ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় টাকা পর্যন্ত মুনাফা করতে পারবে।
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে ব্যবসা করছে ২৩৫টি মানি চেঞ্জার। কিন্তু মার্কেটে ৭০০-র বেশি মানি চেঞ্জার রয়েছে। বৈধ মানি চেঞ্জার কোনো অনিয়ম করলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। কিন্তু যারা অবৈধ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুরোধ করা হয়ছে। এ ব্যাপারে তারা অ্যাকশন নিচ্ছে। তাদের অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও গুলশান এলাকার একাধিক মানি চেঞ্জার ঘুরে দেখা যায়, খোলা বাজারে নগদ ডলারের দাম বিক্রি হচ্ছে ১০৯ টাকায়। আর মানি এক্সচেঞ্জগুলো ডলার কিনছে ১০৮ টাকায়। যা একদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১১৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকা ৩০ পয়সায়। এক সপ্তাহ আগেও এক ডলারের বিপরীতে গ্রাহকদের গুণতে হয়েছিল ১১৮ থেকে ১২০ টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে এখন ১০৫ থেকে ১০৭ টাকায় নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের ক্রয়-বিক্রয় হারের মধ্যে ১ টাকার ব্যবধান বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।