পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণশুনানি ছাড়াই সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়াতে পারে কি না-এ প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। রিটের শুনানিকালে গতকাল রোববার বিচারপতি মো:মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী মো:ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারপক্ষীয় আইনজীবীর কাছে এ প্রশ্ন তোলেন।ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়ের কাছে আদালত জানতে চান, কোনো ধরণের গণশুনানি ছাড়াই সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়াতে পারেন কি না? জবাবে সরকারি এই আইনজীবী বলেন,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জ্বালানির দাম বাড়াতে পারে। কারণ এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে মন্ত্রণালয় ডিজেল,কেরোসিন, পেট্টোল এবং অকটেনের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পেট্টোল ও অকটেনের দাম যথাক্রমে ৫১ দশমিক ১ শতাংশ ও ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। আকস্মিক এই মূল্য বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করে ৮ আগস্ট রিট করেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। রিটে তিনি অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা গেজেট স্থগিত,বাতিল ও প্রত্যাহারের নির্দেশনা চান।রিটে তিনি বলেন,বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন অ্যাক্ট, ২০০৩ এর অধীনে গণশুনানির মাধ্যমে জনগণের মতামত চাওয়ার পর কেবল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন পেট্টোলিয়াম পণ্যের দাম বাড়াতে পারে।সরকার কোনো গণশুনানি না করে এবং জনগণের মতামত না নিয়েই জ্বালানি পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়েছে। এটি আইন ও সংবিধান পরিপন্থি।
রিটে আরও বলা হয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ মো: বেলায়েত হোসেন গত ৫ আগস্ট প্রেসিডেন্টের নির্দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। যদিও এ ধরণের পণ্যের দাম বাড়ানোর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের কোনো সম্পর্ক নেই।
অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ শুনানিতে বলেন,পেট্টোলিয়াম পণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি দেশের কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলবে।এছাড়া রিটের শুনানিকালে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আদালতে বলেন,বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন অ্যাক্ট, ২০০৩ এর ৩৪ ধারা লঙ্ঘন করে সরকার পেট্টোলিয়াম জাতীয় পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। শুনানির এ পর্যায়ে আদালত আগামি মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
প্রসঙ্গত: গত ৫ আগস্ট সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পেট্টোল ও অকটেনের মূল্য যথাক্রমে ৫১ দশমিক ১ শতাংশ ও ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।