ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
কে. এস. সিদ্দিকী
(২৫ নভেম্বর প্রকাশিতের পর)
বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মোজাদ্দেদ
আকবরী রাজত্বকালে তথাকথিত দ্বীনে এলাহীর বদৌলতে ইসলামবিরোধী যে অভিযানের সূচনা হয়েছিল, তা প্রতিহত করার প্রস্তুতি হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রহ.) শুরু করেছিলেন। সম্রাট আকবর দীর্ঘ ৪৭ বছর রাজত্ব করার পর ১৬০৫ সালের অক্টোবর মাসে প্রায় ৬০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তার জীবনের শেষ ১০ বছর তার জন্য সুখকর ছিল না। নানা প্রতিকূলতা, বিপর্যয় ও শোকাবহ পরিস্থিতিতে দিনকাল কাটলেও তার প্রবর্তিত দ্বীনে এলাহীর চাকা সচল ছিল, সাধারণ মুসলমানগণ গুমরাহির অতল গহ্বরে পতিত হয়েছিল। সমগ্র পরিস্থিতি হযরত মোজাদ্দেদ সাহেবের দূরদর্শিতাপূর্ণ নজরে ছিল। আকবর তার জীবনের শেষ ১০ বছর দুঃখ ও অনুশোচনার মধ্যে অতিবাহিত করেছিলেন বলেও কথিত আছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয় যে, আকবরের নবরত্নের অন্যতম আবুল ফজল ১২ বছর পূর্বে নিহত হন এবং ঐতিহাসিক বদাউনী ১০ বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেন। আকবরের জন্য এ দুটি মৃত্যুর ঘটনা ছিল খুবই বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। বিষয়টি প্রসঙ্গে মওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ সাহেব লিখেছেন :
‘পরোক্ষ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য হইতে জানা যায় যে, স¤্রাটের জীবনের শেষ দশ বছর কতিপয় শোকাবহ ঘটনা ও মৃত্যু এবং দীর্ঘকাল যাবত যে সমস্ত পরিকল্পনা কার্যকরী করার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করিয়া আসিতেছিলেন সেইসবের শোচনীয় ব্যর্থতার ফলে অত্যন্ত দুঃখময় হইয়া উঠিয়া ছিলেন। এই সমস্ত পরোক্ষ সূত্রে পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত করা হইয়াছে যে, জীবনের এই সময়টিতে আকবর ইসলামের প্রতি তাহার আজন্ম বিরোধিতা ও বিদ্রোহের দরুন গভীর আত্মগ্লানি ও অনুশোচনায় দগ্ধীভূত হইতে ছিলেন।’ পাশ্চাত্যের ঐতিহাসিকগণ অবশ্য ঐ সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন। তাহাদের মতে, ‘আকবর তাহার বলিষ্ঠ ও সুস্থ বিচার বুদ্ধি বলে যে কুসংস্কার ইচ্ছাকৃতভাবে বর্জন করেছিলেন সেই কুসংস্কারকে পুনরায় গ্রহণ কারিয়াই মৃত্যুবরণ করিয়াছিলেন বলিয়া যে কাহিনী প্রচলিত আছে তাহার কোনোই গুরুত্ব নাই।’
টীকাতে বলা হয়েছে : ‘কুসংস্কার বলিতে এই সমস্ত ঐতিহাসিক ইসলামকেই বুঝাইতে চাহিয়াছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার এই যে, আকবরের পুতুল পূজা, জড়পূজা এবং তাহার ত্রিত্ববাদ বিশ্বাসের মধ্যে কুসংস্কারের কোনো চিহ্নই তাহারা দেখেন নাই।’ (মোছলেমবঙ্গের সামাজিক ইতিহাস, পৃ. ১৩৬)
জাহাঙ্গীর সিংহাসন লাভ করার পর তার পিতা আকবর প্রবর্তিত সকল ইসলামবিরোধী তৎপরতা ও কুসংস্কার তথা অনাচার চালু করতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এতেই তিনি শান্ত হননি, ইংরেজদের বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানেও কার্পণ্য করেননি। তার এ অদূরদর্শিতার ফলে ইংরেজরা নানা স্থানে কল-কারখানা স্থাপন করে তাদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল করেনি। মোগল সাম্প্রাজ্যের পতনের মূলে এটি ছিল একটি অর্থবহ কারণ।
ইসলামবিরোধী অভিযানে জাহাঙ্গীর যখন তার পিতা কর্তৃক জারিকৃত ফরমানগুলো বাস্তবায়নে আত্মনিয়োগ করেন, তখন সমর্থকদের অভাব ছিলনা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এই যে, সম্রাট জাহাঙ্গীরের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। তার স্ত্রী নূরজাহানের তিনি ছিলেন হাতের পুতুল। পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করে যে, সা¤্রাজ্যের শাসনভার কার্যত রানী নূরজাহানের হাতে চলে যায়। নূরজাহান ছিলেন কট্টর শিয়া। তার একটিমাত্র উদাহরণ ছিল এই যে, নূরুল্লাহ শোশী নামক এক ছন্নছড়া ব্যক্তিকে তিনি রাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করেন। নূরজাহানের আশেপাশে রাফেজী শিয়াদের আনাগোনা বেড়ে যায়। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, তিনি শিয়া রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ফলে শিয়া উলামা মুফতিয়ান ও উপদেষ্টাদের প্রভাব দরবারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। অপরদিকে পরিস্থিতি ছিল এই যে, দেশের সর্বত্র শির্ক ও মূর্তি পূজার প্রথাগুলো মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত হতে শুরু করে এবং নানা প্রকারের কুসংস্কার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তাছাড়া একটি নতুন স্লোগান উচ্চারিত হতে থাকে যে, ‘শরীয়ত আলাদাবস্তু এবং তরিকত আলাদা বস্তু।’
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিয়াদের প্রভাব বিস্তার লাভ করছিল। তারা গোপনে সাহাবায়ে কেরামের নিন্দা সমালোচনা করতে থাকে। যাদের মধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট সাহাবা নিন্দা-সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। যেসব হক্কানী উলামা বর্তমান ছিলেন, তাদের সাহস ছিল না এসব অন্যায় ও ইসলামবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার। মোট কথা, সম্রাট জাহাঙ্গীরের এ যুগ ছিল ইসলামের চরম অবনতির যুগ।
এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে সিরহিন্দ থেকে মোজাদ্দেদে আলফেসানি এসবের বিরুদ্ধে বীরবেশে ময়দানে অবতীর্ণ হন, কিন্তু সমর্থক ও জনতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিল-সমাবেশ নয়, কলমের নীরব খোঁচা-চিঠিপত্র যা ‘মাকতুবাত’ নামে ইতিহাস খ্যাত, যার কথা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। মোজাদ্দেদ সাহেবের এসব মাকতুবাত রাষ্ট্রের ক্ষমতাশালীদের মধ্যে তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করে। রাষ্ট্র যন্ত্রগুলো পর্যন্ত এক সময় তাতে প্রভাবিত হয়। তা-ই ছিল গণবিস্ফারণ, তাতে ভেসে যায়, চূরমার হয়ে যায় বাতিলের সকল কলকারখানা। স্বয়ং সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবনেও দেখা দেয় পরিবর্তন, কিন্তু তার আগেই জাহাঙ্গীর মোজাদ্দেদ সাহেবের সাথে যে নির্মম ও নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা আরোপ করেছিলেন, তা দেখা দরকার। তা ছিল ইতিহাসের এক নিন্দনীয় অধ্যায়। মোজাদ্দেদে আলফেসানি (রহ.)-এর ‘মকতুবাত অভিযানের ফলে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সিংহাসনে রীতিমতো কম্পন শুরু হয়ে যায়। জাহাঙ্গীর দরবারের ক্ষমতাসীন ও তার ভক্ত অনুসারীদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তারা মোজাদ্দেদ সাহেবের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে যায় এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের দীর্ঘ জাল বিস্তার করে। তারা অপকৌশল হিসেবে একটি অস্ত্র ব্যবহার করতে থাকে যে, তার পত্রাবলীকে পরিবর্তন ও বিকৃত করে সম্প্রাটের নিকট পেশ করতে থাকে। নূরজাহানের কারণে রাফেজী শিয়ারা আশা পোষণ করেছিল যে, তারা নিজেদের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবে, সেই আশাও তাদের অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে চলে। তাই তারা সবাই ইমামে রাব্বানীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কথিত আছে যে, এসব অপপ্রচারের ফলে শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেদে দেহলভী (রহ)-এর ন্যায় হক্কানী দিনদার আলেম পর্যন্ত প্রভাবিত না হয়ে পারেননি। সম্রাট তো বটেই, সমগ্র ভারতবর্ষে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যায়।
মোজাদ্দেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
সম্রাট জাহাঙ্গীরের কান ভারী করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীচক্র মোজাদ্দেদ সাহেবের পত্রাবলীকে কাটছাঁট করে বিকৃতভাবে সম্রাটকে পাঠ করে শুনায় এবং ভুল ব্যাখ্যা দান করে যাতে সম্রাট ক্ষিপ্ত হন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, সম্রাটকে একখানা পত্রের ব্যাখ্যা এভাবে বুঝানো হয় যে, শায়খ আহমদ (মোজাদ্দেদ সাহেব) নিজেকে হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মনে করেন। মোজাদ্দেদ সাহেবের ভক্ত অনুসারীগণ যথাসময়ে তাকে এসব ষড়যন্ত্রের বিষয়ে অবহিত করতে থাকেন। তিনি তাদেরকে এসব অপপ্রচারে কান দিতে নিষেধ করেন। তাদেরকে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করার উপদেশ দেন। কিন্তু অপপ্রচারের বিষয়টি এতই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে, এক দিন সম্রাট জাহাঙ্গীর মোজাদ্দেদ সাহেবকে তার দরবারে তলব করেন। তিনি দরবারে হাজির হন। সওয়াল জবাব অনুষ্ঠিত হয়। জবাবে সম্রাট সন্তুষ্ট হন। তার মধ্যে মোজাদ্দেদ সম্পর্কে যেসব ভুল ধারণা প্রদান করা হয়েছিল তার অবসান ঘটে। ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে চুনকালি পড়ে। ওদের লজ্জার সীমা রইল না, সম্প্রাটের নিকট ওদের মিথ্যাচারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল।
এ লজ্জা গ্লানি ঢাকার জন্য ফেতনাবাজ ষড়যন্ত্রকারীরা এবার আরো একটি অস্ত্র ব্যবহার করল। ওরা সম্প্রাটকে বুঝাল যে, এ ব্যক্তি (মোজাদ্দেদ সাহেব) অত্যন্ত খতরনাক, ভয়ংকর, রাষ্ট্রদ্রোহী। সমস্ত উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধভাবে ফতোয়া প্রদান করেছেন যে, তাজিমী (সম্মানার্থে) সেজদা করা জায়েজ, কিন্তু এই ব্যক্তি তার মকতুবাতে এ শরয়ী ফতোয়ার বিরোধিতা করেছেন। এ বক্তব্যের অকাট্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে, হুজুরকে সেজদা করার নির্দেশ দান করা হোক, এ ব্যক্তি এই নির্দেশ পালন করবেন না। সম্প্রাটের কথাটি পছন্দ হয় এবং মনে লাগে স¤্রাট জাহাঙ্গীর মোজাদ্দেদ সাহেবকে নির্দেশ দেন তাকে সেজদা করতে। হজরত ইমামে রাব্বানী এ নির্দেশ পালনে দৃঢ়তার সাথে অস্বীকার করেন এবং বলেন, কোরআনের বিধান অনুযায়ী, সেজদা একমাত্র খালেকের জন্য (স্ট্রষ্টার জন্য) নির্দিষ্ট। এর চেয়ে অধিক নির্বুদ্ধিতা ও বাতুলতা আর কি হতে পারে যে, এক মাখলুক তার ন্যায় অপর এক দুর্বল অভাবী মাখলুককে সেজদা করবে। এ কথা শ্রবণ করা মাত্র সম্রাট জাহাঙ্গীর রাগে-ক্ষোভে অগ্নিশর্মা হয়ে পড়েন এবং ইমামে রাব্বানীকে হত্যার নির্দেশ দেন। অতঃপর কি মনে করে হত্যার পরিবর্তে অনির্ধারিত সময়ের জন্য জেলখানায় রাখার নির্দেশ দেন। শায়খ আহমদ সিরহিন্দি গোওয়ালিয়ার রাজ্যের আজিন কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। তিনি আনন্দ চিত্তে এ কারাবরণ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ সময় তিনি কারাগারে পড়ে থাকেন। জাহাঙ্গীর তার ব্যাপারে বেখবর। আল্লাহর দুশমনরা সফলকাম হয়েছে, ওরা আনন্দে আত্মহারা। সম্রাট তার রাজকীয় কাজকর্মে লিপ্ত। তিনি সাম্প্রাজ্য পরিচালনায় মনোযাগী হয়ে পড়েন।
জাহাঙ্গীরের ভাগ্য পরিবর্তন
আউলিয়ায়ে কেরামের কারামাত বা অলৌকিক ঘটনাবলী সত্য হয়ে থাকে মুমিন মুসলমানদের তা বিশ্বাসের অঙ্গ। যাকে প্রথমে কতলের নির্দেশ দেয়া হয়, অতঃপর কতলের পরিবর্তে কারাবন্দি করা হয়, এ ঘটনাও কারামতের অন্তর্ভুক্ত। পরবর্তী ঘটনাটি কারামুক্তি। এটি আরো অদ্ভুত, বিস্ময়কর। মোজাদ্দেদে আলফেসানি (রহ.) দুই সম্রাট পিতা-পুত্রের ইসলামবিরোধী নির্দেশাবলীর বিরোধিতা করতে গিয়ে পদে পদে পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি হক ও বাতিলের কঠিন যুদ্ধের সর্ব পর্যায়ে যে শোচনীয়ভাবে শত্রুকে পরাজিত করেছেন তার সর্বশেষ নজির কারামুক্তির ঘটনা। ইতিহাসের সেই অবিস্মরণীয় ঘটনাটি হচ্ছে :
সম্রাট জাহাঙ্গীর এক রাতে স্বপ্নে দেখেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তার আঙ্গুল দাঁত দিয়ে চেপে ধরেন বলেন : ওহ! হে জাহাঙ্গীর!! তুমি কত বড় মহান ব্যক্তিকে বন্দি করে রেখেছ? সম্রাট এ স্বপ্নের পর দ্রুত মোজাদ্দেদ সাহেবকে মুক্তির নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু শত্রুদের মনের জ্বালা তখনো ঠা-া হয়নি। ওরা সম্রাটকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে নির্দেশ প্রদান করায় যে, তাকে কিছু দিন সম্রাটের সাহচর্যে সৈন্যদের মধ্যে থাকতে হবে। মোজাদ্দেদ সাহেবের জন্য এটি কারাবরণের চেয়ে কম কষ্টদায়ক ছিল না। কিন্তু কে জানত ‘এ সাহচর্য সম্রাট জাহাঙ্গীরের সৌভাগ্যের দরজা খুলে দেবে।’সম্রাট জাহাঙ্গীর হযরত মোজাদ্দেদে আলফেসানি (রহ.)-এর হাতে, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তওবা করেন, মদ্যপান ও অন্যান্য নিষিদ্ধ বস্তুসমূহ ত্যাগ করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন। যে স¤্রাট এক সময় গর্ব-অহংকারে মাতোয়া ছিলেন, যার অবস্থা ছিল এই যে, নিজের জন্য সেজদা করাতেন এবং তাজিমী সেজদা জায়েজ, উলামার ফতোয়া নিতেন সেই সম্রাট শেষ জীবনে বলতেন : ‘আমি জীবনে এমন কোনো কাজ করিনি যা দ্বারা নাজাতের আশা করা যায়, তবে আমার কাছে একটি দস্তাবেজ আছে যা আমি আল্লাহতায়ালার সামনে পেশ করব। আর সেই দস্তাবেজ হচ্ছে এই যে, একদিন আমাকে শায়খ আহমদ সিরহিন্দি বলেছিলেন, যদি আল্লাহতায়ালা আমাকে জান্নাত দান করেন তাহলে আমি তোমাকে ছাড়া যাব না।’ (সমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।