পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ট্রেন কাউকে ধাক্কা দেয় না, বরং বাইরে থেকে এসে ট্রেনকে ধাক্কা দেয়া হয়। রেললাইনে এসে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে তার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের নয়। গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জের রেলস্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, আড়াই থেকে তিন হাজার কিলোমিটার রেললাইন তৈরি করছি। যেখানে রাস্তা আছে সেখানেই ব্রিজ করা আছে। রেলে যে আমরা বেরিয়ার দেই, গেট দেই- এ গেটটা দেয়া হয় যাতে রেলের কোনো ক্ষতি না হয়। রেল ঠিকভাবে চলতে পারে, বাইরে থেকে কোনো কিছু যেন রেলের ক্ষতি করতে না পারে। কিন্তু কেউ যদি এসে রেলগেটে কিংবা রেললাইনে দুর্ঘটনার শিকার হন তার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষের নয়।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দায়িত্ব সড়ক বিভাগের, রেল তার নিজস্ব রাস্তায় চলে। সেই লাইনের ওপর যদি নতুন করে সড়ক নেয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে সেই দায়ভার কে নেবে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সবকয়টি পুরোনা রেললাইন। যখন রেল চলাচল করে তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কারও রেললাইনে আসা-যাওয়ার সুযোগ নেই। আরেকজন এসে আমার সঙ্গে ধাক্কা খাবে তার দায়িত্ব রেলের ওপর দেবেন এটা যুক্তিসঙ্গত নয়। আমি তো কাউকে ধাক্কা দিচ্ছি না। আরেকজন এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে রেল যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যে ধাক্কা দিচ্ছে তার দোষ নেই, যেহেতু বড় গাড়ি আমার তাই সব দোষ আমার। এটা হলো আমাদের জেনারেল পারসেপশন, কিন্তু যুক্তি দিয়ে যদি বিবেচনা করেন তাহলে সঠিক উত্তরটি পেয়ে যাবেন।
কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কারও কাম্য নয় উল্লেখ করে তিরি বলেন, কিন্তু এই ঘটনাগুলো রেলের দুর্ঘটনা নয়। রেলের দুর্ঘটনা সেটাই রেল যদি লাইনচ্যুত হয়। রেল যদি নিজের পথ ছেড়ে কারও বাড়িতে ঢুকে যায় সেটা হলো রেলের দুর্ঘটনা। এ বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
রেলের গেট পাহারার দায়িত্বের বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলের গেট পাহারা দেয়ার দায়িত্ব তাদের যারা রাস্তা করেছে। আপনার পৌরসভার রাস্তা আমার রেললাইনকে ক্রস করতেছে, আপনার লোকজন সেই রাস্তা দিয়ে পারাপার হবে এর দায়িত্ব আপনার আমার নয়।
ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরে ঐতিহাসিক ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, কাঙিক্ষত স্বাধীনতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুরুল আলম, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রেলওয়ে কর্তৃক নির্মাণাধীন খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত নতুন রেলপথ এবছর ডিসেম্বরে চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। গতকাল নির্মাণাধীন খুলনা হতে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় রূপসা রেল সেতু এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।