পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় খন্দকার আশিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনার আগে স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে এরপর নিজেই গলায় ফাঁস দেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদপুর থানার এসআই আলতাফ হোসেন জানান, মৃত আশিকুর রহমান ঝালকাঠি জেলার সদর থানার দিবাকরকাঠি গ্রামের খন্দকার এনায়েত হোসেনের ছেলে। তিনি রাজধানী মোহাম্মদপুর থানা কাটাসুর ২ নম্বর গলি ৯৩/১ নম্বর বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন। মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করতেন তিনি। তার স্ত্রী বনানীতে একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করেন।
তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী দাবি করছেন- পারিবারিক কলহের কারণে বৃহস্পতিবার রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুমের ভেতর আশিক তার (স্ত্রী) হাত-পা রশি দিয়ে এবং মুখ বালিশের কভার দিয়ে বাঁধেন। এরপর তিনি নিজেই ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে কৌশলে স্ত্রী নিজের হাত পায়ের বাঁধন খুলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে নিচে নামান। তার কান্নাকাটির শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তখন প্রতিবেশীরাই তাকে হাসপাতলে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত তিনটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তার পরিবারে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আশিকের স্ত্রী বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছে। এ ঘটনায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আশিকের স্ত্রী তানজিলা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পাঁচ মাস হলো সম্পর্ক করে বিয়ে করেছি। আমার পরিবার থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। কিন্তু আমার স্বামীর পরিবার থেকে মেনে নিয়েছে। রাতে কোন একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে সে বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেয়। আমি দেখতে পেয়ে চিৎকার করি। পরে আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে পল্লবী এলাকা থেকে এক অটো রিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল পৌনে আটটার দিকে পল্লবীর কালশী নতুন রাস্তার নিচ থেকে আবদুল লতিফ হাওলাদারের লাশ উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ। নিহত আবদুল লতিফ হাওলাদার মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানার বলই গ্রামের মৃত খলিল হাওলাদারের ছেলে। তিনি রাজধানীর পল্লবী থানার ১২ নম্বর সেকশনের ট ব্লকের ৩৪৭ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লতিফ হাওলাদার নামে একজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে। পরে সিআইডি ক্রাইমসিন বিভাগ এসে আলামত সংগ্রহ করে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিহত আবদুল লতিফ হাওলাদার অটোরিকশা চালাতেন। প্রতিদিনের মতো রিকশা নিয়ে রাতে বাসা থেকে বের হন। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে খুন করা হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা লতিফকে গলা কেটে হত্যা করে। তার অটোরিকশাটির হদিস পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।