পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ পানে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় রীড ফার্মাসিউটিক্যালস এর মালিকসহ পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ড্রাগ আদালতের বিচারক এম আতোয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাস পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন, রীড ফার্মার মালিক মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী পরিচালক শিউলি রহমান, পরিচালক আবদুল গণি, ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল ইসলাম ও এনামুল হক। রায় ঘোষণার সময় পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পলাতক ছিলেন। আদালতে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর ও শিউলি।
রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সঠিক নিয়ম মেনে জব্দ তালিকা ও পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেননি। মামলা দায়েরের সময় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিল, তা না নেওয়ায় তার অযোগ্যতা ও অদক্ষতা প্রমাণিত হয়। তাই রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আসামিদের খালাস দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে ড্রাগ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নাদিম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলার আলামত আইনসম্মতভাবে জব্দ করা হয়নি। মামলার আলামত জব্দ করা হয়েছে ঢাকার শিশু হাসপাতাল থেকে। হাসপাতাল থেকে জব্দ করা হয়েছে যে ওষুধ, তা রীড ফার্মার বলে প্রমাণিত হয়নি। আমরা যেটুকু বুঝেছি, মামলার আলামত হিসেবে ওষুধ যদি কারখানা থেকে করা জব্দ করা হতো, তাহলে হয়তো সঠিক হতো। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরে আপিল করার ব্যাপার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মামলার নথি সুত্রে জানাগেছে, ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ তৈরির অভিযোগে ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, রীড ফার্মার তৈরি করা প্যারাসিটামলে বিষাক্ত উপাদান রয়েছে। এই প্যারাসিটামল সিরাপ পান করে সারা দেশে ২৮ শিশু মারা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।