Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বালানি রিজার্ভে উদ্বেগ

দেশে অকটেন ৯ দিন ও ডিজেল ৩২ দিনের মজুদ আছে : বিপিসি চেয়ারম্যান সঙ্কট মোকাবেলায় দেশের গ্যাস উৎপাদনে নজর দেয়া প্রয়োজন : অধ্যাপক ম. তামিম :: ৬ মাসের জ্বালানি মজুদ থাকলে নিরাপদ মনে কর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২২, ১২:০৭ এএম

দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ে শিডিউলভিত্তিক বিদ্যুতে লোডশেডিং দেয়া হলেও জ্বালানি রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া এবং দেশে ডলার সঙ্কটের কারণে এলসি খুলতে না পারার কারণে রিজার্ভ কমে আসছে। রিজার্ভ কমে আসায় এ নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। রাজধানীর কিছু পেট্রল পাম্পে ‘চারশ’ টাকার বেশি পেট্রল নেয়া যাবে না’ এবং ‘তিন হাজার টাকার বেশি ডিজেল-অকটেন নেয়া যাবে না’ নোটিশ টানিয়ে দেয়ার পর ভোক্তাদের জ্বালানি সঙ্কট আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বেশি বেশি পেট্রল, ডিজেল, অকটেন ক্রয়ে পেট্রলপাম্পগুলোতে ভিড় করতে থাকেন। হঠাৎ করে নগরীর অনেক পেট্রলপাম্পে দেখা যায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এ অবস্থায় গতকাল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ৩২ দিনের ডিজেল এবং ৯ দিনের অকটেন মজুদ আছে। এছাড়াও ৬ মাসের তেল অর্ডার (আমদানির আদেশ) করা আছে। এদিকে তেল সঙ্কট ‘গুজব’ হিসেবে অভিহিত করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, জ্বালানি তেলের কোনো সঙ্কট নেই, সঙ্কটের কোনো আশঙ্কাও নেই।

জানতে চাইলে পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক ইনকিলাবকে বলেন, পেট্রল, ডিজেল ও অকটেন নিয়ে একটি গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে। যে কারণে পেট্রলপাম্পগুলোতে গাড়ির ভিড় বাড়ছে। গুজবের কারণে অনেকেই অতিরিক্ত মজুদ করছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কারণে জেনারেটর চালু রাখতে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে। পেট্রলপাম্পগুলো থেকে আমরা যেভাবে চাচ্ছি, সেভাবেই পাচ্ছি।

গ্রাহকদেরও সমস্যা নেই। এদিকে পেট্রলপাম্পগুলো নির্ধারিত টাকার বাইরে পেট্রল, ডিজেল ও অকটেন বিক্রি করছে নাÑ এ সম্পর্কে নোটিশ প্রসঙ্গে নাজমুল হক বলেন, এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যে যতটুকু চাচ্ছে ততটুকু পাচ্ছে। যদিও গুজবের কারণে অনেকে বেশি মজুদ করছে। তবে গত মঙ্গলবার কিছু পেট্রলপাম্প গুজব ছড়ানোর জন্য এবং সরকারকে বিপাকে ফেলতে নির্দিষ্ট অংক উল্লেখ করে এর বেশি পেট্রল, ডিজেল ও অকটেন দেয়া সম্ভব নয় প্রচারণা চালাচ্ছে। যারা এটি করেছে তাদের ইতোমধ্যে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জ্বালানি সরবরাহ ও মজুদ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং ৯ দিনের অকটেন মজুদ রয়েছে। এছাড়াও ৬ মাসের তেল আমদানি নিশ্চিত করা আছে। ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন ডিজেল দেশে মজুদ রয়েছে। আর অকটেন রয়েছে ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন। আগামী ৩০ জুলাই দেশে পৌঁছবে আরো ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল। দেশে ৪৪ দিনের জেট ফুয়েল এবং ৩২ দিনের ফার্নেস অয়েল মজুদ আছে দাবি করে গ্রাহকদের তেল কম কেনার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি বলেও তিনি জানান। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরো দীর্ঘায়িত হলে দেশে তেলের সরবরাহ ঠিক রাখার পরিকল্পনা নেয়া আছে বলেও জানান বিপিসি চেয়ারম্যান।

জ্বালানি ব্যবহার সাশ্রয়ে মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন নেয়া যাবে, তেলের পাম্পে টানিয়ে রাখা এমন একটা বিজ্ঞপ্তি ২৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তবে বিপিসি বলছে দেশে তেলের সঙ্কট নেই। যা মজুদ আছে তাতে আগামী এক মাস চলা যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল দলের এক অঙ্গসংগঠনের অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে গণমাধ্যমে ‘ডিজেল, অকটেন, পেট্রলের সঙ্কট প্রসঙ্গে প্রকাশিত খবর নিয়ে বলেছেন, ‘ডিজেল আমাদের কিনতে হয়, এটা ঠিক। কিন্তু অকটেন আর পেট্রল কিন্তু আমাদের কিনতে হয় না। আমরা যে গ্যাস উত্তোলন করি সেখান থেকে বাই প্রডাক্ট হিসেবে রিফাইন করে পেট্রল ও অকটেন পাই। বরং আমাদের যতটুকু চাহিদা তার চেয়ে অনেক বেশি পেট্রল এবং অকটেন কিন্তু আমাদের আছে। কাজেই যারা অনেক বেশি জ্ঞানী তাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার এত বেশি যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস তারা ভুলে যান। উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চান।’

গতকাল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, কমলাপুর, মতিঝিল, দোলাইরপাড় এলাকার কয়েকটি পেট্রলপাম্প ঘুরে দেখা গেছে ‘৪০০ টাকার পেট্রল এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন নেয়া যাবে’ এমন বিজ্ঞপ্তির নোটিশ নেই। তবে একাধিক পাম্পের মালিক ও কর্মচারীরা স্বীকার করেন তারা মঙ্গলবার এমন নোটিশ দিয়েছেন। গুজব হওয়ায় তা তুলে ফেলেছেন। তবে জ্বালানির সরবরাহ ও রিজার্ভ কম তা স্বীকার করেন।
বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির বিভিন্ন ডিপোতে এবং ইস্টার্ন রিফাইনারিতে এসব জ্বালানি তেল সংরক্ষণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ব্যবহৃত জ্বালানির মধ্যে ডিজেল ৭৩ শতাংশ, পেট্রল ৬ শতাংশ, অকটেন ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ও ফার্নেস অয়েল ৮ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যবহার হয়। তবে পেট্রলের বেশির ভাগটাই দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মেটানো হয়। কিন্তু সে পেট্রলের রিজার্ভ কমে গেল কেন সেটা রহস্যজনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে ডিজেলের মজুদ রাখার ক্ষমতা ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি; বর্তমানে ডিজেলের মজুদ রয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন। অকটেন মজুদ রাখার ক্ষমতা ৪৬ হাজার মেট্রিক টন; বর্তমানে অকটেন মজুদ রয়েছে ১৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। পেট্রলের মজুদ ক্ষমতা ৩২ হাজার মেট্রিক টন; পেট্রল মজুদ রয়েছে ১৭ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। কেরোসিনের মজুদ রাখার ক্ষমতা ৪২ হাজার মেট্রিক টন; কেরোসিন রয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। আর ফার্নেস অয়েল মজুদ রাখার ক্ষমতা ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন; ফার্নেস অয়েল মজুদ রয়েছে প্রায় ৮২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এছাড়াও জেড ফুয়েল মজুদ রয়েছে ৫৮ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। অন্যদিকে জ্বালানি তেল বিক্রির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে ডিজেলের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার ৪৫৩ মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েলের চাহিদা দৈনিক ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, অকটেন চাহিদা ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন, পেট্রলের চাহিদা ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েলের চাহিদা দৈনিক ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এতে দেখা যায় দেশে ১৩ দিনের পেট্রল, ১১ দিনের অকটেন ও ৩০ দিনের ডিজেল মজুদ আছে। বিপিসির চেয়ারম্যানের দেয়া হিসাবের চেয়ে এই তথ্যের তেমন গরমিল নেই।

সূত্রের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। একদিকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য; অন্যদিকে দেশে ডলারের তীব্র সঙ্কট। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে ডলারের দাম। ডলার সঙ্কটে ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় বিপিসির সবশেষ হিসাবে দেখা যায় ডিজেলের মজুদ ৩০ দিনে নেমে এসেছে। অবশ্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, আগামী ৩২ দিনের ডিজেল এবং ৯ দিনের অকটেন মজুদ রয়েছে। অথচ বিপিসি সর্বশেষ তথ্যে বলছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী আগস্ট মাসে ৩ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেলের চাহিদার বিপরীতে গত ১৯ জুলাই পর্যন্ত ঋণপত্র খুলতে পেরেছে মাত্র ১ লাখ মেট্রিক টনের।
জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম তামিম বলেন, জ্বালানি সঙ্কট মোকাবেলায় দেশের গ্যাস উৎপাদনে নজর দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু সে ব্যাপারে সরকারের এখনও তেমন উদ্যোগ নেই। জ্বালানি আমদানির সাথে সমান্তরালভাবে দেশের ভেতরে সরবরাহ বাড়াতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
জ্বালানি মজুদ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কেমিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণত ৬ মাসের তেল মজুদ থাকলে নিরাপদ মনে করা হয়। তবে তেল বেশি দিন মজুদ করলে বেশি খরচ গুনতে হয়। এখন সমস্যা হলো ডলার সঙ্কট। বিপিসি বলেছে, তাদের ৪৫ দিনের মজুদ আছে তেল। আর নতুন করে তেল আমদানির জন্য যখন এলসি খুলতে ব্যাংকে গেল, তখন ব্যাংক বলেছে তাদের ডলার নেই। ফলে ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও বিল পরিশোধে বিপিসি জটিলতায় পড়ে গেছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা : দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি তেল মজুদ থাকার কথা জানিয়ে সরকার বলেছে তেলের কোনো সঙ্কট নেই, সঙ্কটের কোনো আশঙ্কাও নেই। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন কোম্পানিগুলোর ডিপোতে মজুদ থাকা তেলের হিসাব তুলে ধরে সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, জ্বালানি তেলের মজুদ নিয়ে একটি মহল অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত ডিজেল মজুদ আছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন। দৈনিক গড়ে ডিজেল বিক্রি হয় ১৩ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন। এতে ৩২ দিন চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। একইভাবে জেট-এ-১ মজুদ আছে ৪৪ দিনের এবং ফার্নেস তেল মজুদ আছে ৩২ দিনের। আগামী ৬ মাসের জন্য যে তেল প্রয়োজন হবে তাও আমদানির প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

দেশে পেট্রলের চাহিদা ও উৎপাদন সম্পর্কে বলা হয়, পেট্রল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। অকটেনের প্রায় ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদন হয়। জুলাই মাসে ইতোমধ্যে ৯টি জাহাজে করে ২৫৫,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল, ২টি জাহাজে প্রায় ৪৩,০০০ মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ হতে ২৪,৬৭৭ মেট্রিক টন অকটেন এবং ২টি জাহাজ হতে ৫৩,৩৫৮ মেট্রিক টন ফার্নেস তেল গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী আগস্ট মাসে ৮টি জাহাজে ২১৮,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল, ১টি জাহাজে ২৫,০০০ মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ হতে ২৫,০০০ মেট্রিক টন অকটেন আসবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ভাষ্য, আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনা অনুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ ভাগ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ ভাগ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে। ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।



 

Show all comments
  • Rafiq A Gonj ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:৩০ এএম says : 0
    এখন যেভাবে বিদ্যুৎ এর লোড শেডিং হচ্ছে, বিএনপি-র আমলে এরুপ লোড শেডিং হয় নাই। প্রতিদিনের ২২ ঘন্টা লোড শেডিং হচ্ছে। অথচ শুনলাম ৫১ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বিদ্যুতের উন্নয়নের জন্য। কিন্তু কি হলো। শুধু পকেট ভরল কি না আল্লাহই ভাল জানেন?
    Total Reply(0) Reply
  • Apu Kumar ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৭ এএম says : 0
    দেশে কিছু প্রানী আছে যারা সব সময় সুযোগ নিয়ে থাকে গুজব ছড়াতে। যেমন লবণ নিয়ে যে কান্ড হল তা আমরা সবাই জানি। তাই সাধু সাবধান।
    Total Reply(0) Reply
  • Homayun Molla ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৭ এএম says : 0
    এখন কিছু মানুষ এর বাড়ি ডিজেল এর ডিপো হবে। মজুদ করবে বেশি লাভের আশা
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Chowdhary ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৭ এএম says : 0
    ঘরে আগুন লাগলে তার আচ সবার গায়েই লাগে । এমনকি প্রতিবেশীরাও বাদ যায় না । দেশ যদি খাদে পরে সেই আশঙ্কায় কেউ কেউ একটু খুশী হচ্ছে । এতো খুশীর কিছু নাইরে ভাই । দেশ যদি শ্রীলঙ্কার পথে হাঁটে তাহলে আপনাকেও লোটা কম্বল নিয়া দৌড়াতে হবে । পরিস্থিতি তখন সরকারী দল বা বিরোধীদল বুঝবে না । তাই আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ করতে থাকেন দেশ যেন এই খারাপ সময় ভালভাবে পার করতে পারে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Golam Kibria ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৮ এএম says : 0
    আমরা চেয়েছিলেন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। কিন্তু আমরা হয়ে গেলাম তেল বিদ্যুৎ নির্ভরশীল বা পরনির্ভরশীল। এখন কষ্ট করা ও আফসোস করা ছাড়া আর কি-বা করার আছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Atikur Rahman ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৮ এএম says : 0
    আমাদের অর্জন থেকে গর্জন বেশি হওয়ায় দেশের এই দুরবস্থার কারণ তার জন্য দায়ী বর্তমান শাসক গোষ্ঠী।
    Total Reply(0) Reply
  • Mision Khan ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৮ এএম says : 0
    একটা সরকার দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকেও জ্বালানির সুরক্ষার জন্য কোন পরিকল্পনাই হাতে নেয়নি, বিদ্যুৎ লোডশেডিং এবং শিল্প কারখানায় গ্যাস প্রেসার ডাউন এর কারনে পোশাক উৎপাদন অনেক কমে গেছে, জনগণের কাছে জবাব দিহিতা না থাকলে যা হয় আর কি
    Total Reply(0) Reply
  • M.A. Hossain ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৯ এএম says : 0
    অন্যের উপর আত্মনির্ভর হয়ে, উন্নত রাষ্ট্রগড়া স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই হবে বাস্তবতা অনেক দূরে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Shahabuddin ২৮ জুলাই, ২০২২, ৭:২৯ এএম says : 0
    তেলভিত্তিক করলে গলার কাটা,কয়লা ভিত্তিক রামপাল, মাতারবাড়ী নিয়েও পরিবেশবাদীরা সরকারকে যা হেস্তনেস্ত করলো। রূপপুর পারমাণবিকে ও সকলের অরুচি ।তো বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন‍্য মনে হয় বাংলাদেশ গ‍্যাসের বন‍্যায় ভেসে যাচ্ছে।বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের গ‍্যাসের স্বল্প মজুদের একটা ধারণা পেয়ে গেছে তাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে না।তাই সেটা ভুল প্রমান করার জন্য সরকারের উচিত হবে নিজেদের সাধ‍্য অনুযায়ী গ‍্যাস অনুসন্ধানে পেট্রোবাংলাকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া।তাতে পদ্মা সেতুর মতো যদি ভালো কিছু হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohmmed Dolilur ২৮ জুলাই, ২০২২, ২:৪৮ এএম says : 0
    রাশিয়া কে যেহেতু আমরা সাপেট করেছি আমাদের প্রধান মন্ত্রী যদি ভ্লাদিমির পুতিন কে বলেন,আমরা অবশ্যই সাহায্য পামু,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বসে থাকবেনা,উনি দেশ ও জনগনের দায়িততে আছেন,এত এব আমাদের চিন্তার কারন নেই,ভারত এবং চীন যদি রাশিয়া থেকে আনতে পারে আমরা যেহেতু ওদের প্রতি বেশী অবশ্যই তাদের মাধ্যমে আমাদের প্রধান মন্ত্রী সেই বেবসতা করবেন,অযথা কথা বলে দেশের ক্ষতি করে লাভ কিসের যাই হবে আল্লাহর হুকুম,কোনো রাষ্ট্র প্রধান চায় না যে তাহার জনগণ অসুবিধায় থাকুক,সবাই নামাজ পড়ে দোয়া করবেন বিপদ থেকে উদ্ধার হতে,হায়রে নাই নাই কি করি এই গুলি বললে বরকত কমে যায়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জ্বালানি রিজার্ভে উদ্বেগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ