পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নড়াইলের লোহাগড়ায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেয়ার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আকাশ সাহা। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়।
তিনি জানান, গত ২০ জুলাই আকাশ সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে, সে তার নিজের নামে খোলা ফেসবুক আইডি থেকে নিজেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ওই পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে তার এই স্বীকারোক্তির বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। আকাশ সাহা লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া কলেজের ছাত্র এবং ওই গ্রামের অশোক সাহার ছেলে। আকাশ সাহা বর্তমানে নড়াইল কারাগারে রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আকাশ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৭ জুলাই লোহাগড়া আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলম এর আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২০ জুলাই একই আদালতে আকাশ সাহা নিজেই মহানবী হযরত (সা.)-কে কটূক্তিমূলক পোস্ট দিয়েছেন মর্মে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই আকাশ সাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করে আপত্তিকর পোস্ট প্রকাশ করে। মহানবীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির এই ঘটনা জানাজানির পর এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা দিঘলিয়া বাজার ও সাহাপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, দোকান ও মন্দির ভাঙচুর এবং একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরেরদিন দিঘলিয়া গ্রামের সালাউদ্দিন কচি নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত আকাশ সাহাকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে, বিক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক দিঘলিয়া বাজারের ৬টি দোকান ও ৪টি বাড়ি ভাঙচুর এবং একটি বাড়ি ও একটি মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। সে মামলায় ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।