পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আরও ৪০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এ ঋণে সুদের হার ৪ শতাংশ। একজন উদ্যোক্তা এক লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। ১৮টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এই চুক্তি সই হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি সই করেন অংশীদার ১৫টি ব্যাংক ও তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ও লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। এসএমই ফাউন্ডেশন জানায়, গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে সর্বোচ্চ তিন বছর। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে ঋণ। মোট ঋণের ২৫ শতাংশ নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। আর ৩০ শতাংশ উদ্যোক্তার ঋণ ১০ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম পরিমাণ হতে হবে। ঋণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন ক্লাস্টার ও ভ্যালু চেইন। যেমন টেক্সটাইল খাতের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, সুতা, রং, স্ক্রিন প্রিন্ট, প্যাকেজিং, খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রেতা, সরবরাহকারী এবং উৎপাদিত পণ্য পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। ভ্যালু চেইনের উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঋণ ব্যবসা (ট্রেডিং) খাতে প্রদান করা যাবে। ব্যাংকার-কাস্টমার সম্পর্ক ও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ পাঁচজন উদ্যোক্তার অনুকূলে গ্রুপভিত্তিক ঋণ বিতরণ করা যাবে। তবে অনুৎপাদনশীল খাত যেমন, মুদি দোকান, ওষুধ বিক্রেতা, হার্ডওয়্যার বিক্রেতা এবং পরিবেশ দূষণকারী, যেমনÑ ইটভাটা, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাকে এ ঋণ দেয়া যাবে না। এসব ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটরিং করবে এসএমই ফাউন্ডেশন। চুক্তি অনুযায়ী এবং সঠিক উদ্যোক্তার অনুকূলে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই ও নিশ্চিত করবে সংস্থাটি।
এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জামানতবিহীন ঋণ দিতে উৎসাহিত করবে এসএমই ফাউন্ডেশন। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গ্যারান্টি, সামাজিক গ্যারান্টি, গ্রুপ গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। এর আগে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে দুই ধাপে ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছিল। যা এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে উদ্যোক্তা পর্যায়ে।
অর্থ বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রত্যাবর্তনকৃত অর্থ এবং নিজস্ব তহবিল থেকে এসএমই ফাউন্ডেশন একটি ‘রিভলভিং ফান্ড’ গঠন করেছে। ‘রিভলভিং ফান্ড’ থেকে এসএমই উদ্যোক্তা, ক্লাস্টার, ক্লায়েন্টেল গ্রুপ, অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের সদস্য এবং নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে এই ঋণ বিতরণ করা হবে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন প্রফেসর ড. মো. মাসুদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। ‘রিভলভিং ফান্ড’ থেকে ঋণ বিতরণ নীতিমালার বিস্তারিত তুলে ধরেন মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।