পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি ঘোষণা ছাড়াই আবাসিকের প্রি-পেইড মিটারের চার্জ ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস। বিষয়টি জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকেও (বিইআরসি) অবহিত করা হয়নি।
গত ৫ জুন অনলাইনে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যহার সংক্রান্ত এই আদেশ দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এই গ্যাসের দাম ১ জুন থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ চলতি মাসের শেষেই গ্রাহকদের এই বাড়তি বিল দিতে হবে। অন্যদিকে, তিতাসের এক কর্মকর্তা বলেন একই জায়গা থেকে মিটার কিনে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস শুরু থেকেই ১০০ টাকা করে চার্জ রাখছে। আমরা রাখছি ৬০ টাকা। এটা একটা বড় কারণ।
গতকাল মঙ্গলবার তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ মোল্লা ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিটা মিটার ২৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা। একটা মিটারের মেয়াদ ১০ বছর। যখন মিটারগুলো আনা হয়, তখন গ্রাহকদের সুবিধার্থে ৬০ টাকা করে চার্জ নির্ধারণ হয়েছিল। কিন্তু ৬০ টাকা করে প্রতি মাসে নিলে মিটার চার্জ ওঠতে ওঠতে তো ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর লেগে যাবে। কিন্তু দশ বছর পর যদি মিটার নষ্ট হয়ে যায়, তার দায়ভার কার? এ জন্য ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ৬০ টাকা করে রাখা হলে মিটার চার্জের টাকা ওঠতে অনেক দিন লেগে যাবে। বিশ্ব ব্যাংক তো আমাদের লোন দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও মিটার কেনা হবে। লোন পরিশোধও তো করতে হবে। এ জন্য টাকা দ্রুত ওঠানো দরকার।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাড়িতে প্রি-পেইড মিটারের চার্জের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই মাসে মিটার চার্জ ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে কোনো ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়েছি কি-না জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তিতাস কর্মকর্তা জানান, পত্রিকায় দেওয়া হয়নি, নোটিশ দেওয়া হয়েছে কি-না জানি না। তবে, মিটার গ্রাহকদের মেসেজ দেওয়ার কথা ছিল, দেওয়া হয়েছে কি-না জানা নেই।
এর আগে গ্রাহক পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২২ দশমিক ৭৮ ভাগ বৃদ্ধি করে প্রতি ঘনমিটার ১১ টাকা ৯১ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়া আবাসিকে এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বর্তমান দর ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা করা হয়েছে। নতুন দর ঘোষণা করেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক। অন্যদের মধ্য অংশ নেন কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান।
সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বাড়ানো হয়নি সিএনজির দাম। লিখিত বক্তব্যে আবু ফারুক বলেন, কমিশন আইনের ৩৪ এর ৬ ধারা অনুযায়ী পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিতরণ এবং সঞ্চালন কোম্পানি গত জানুয়ারি প্রথম দিকে আবেদন করেন। গত ২১ থেকে ২৪ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই শুনানিতে বিইআরসি কারিগরি কমিটি সবধরনের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করে। কমিশন আইনের ধারা ২২ (খ) এবং ধারা ৩৪ অনুযায়ী গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এইখাতে ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঘাটতি হবে। এই টাকার মধ্যে সরকার ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে বাজেটে দেবে। অন্যদিকে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল এবং কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
আবাসিকের প্রি-পেইড মিটারের জুন মাসে রিচার্জ করা হবে কীভাবে জানতে চাইলে মকবুল ই ইলাহি বলেন, গ্রাহকদের দ্রুত রিচার্জ করে আপডেট করে নিতে হবে। আর মিটারবিহীনরা জুনের শেষে এই আদেশ অনুযায়ী বিল দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।