পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (এআইপি)’ সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা।
ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (এআইপি) সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
এ সময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে এআইপি পাচ্ছেন ১৩জন। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তরা সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও চিরশোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তিনি বলেন, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব।
মন্ত্রী বলেন, তিনি(প্রধানমন্ত্রী) কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, খামারিসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে প্রতি বৎসর সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (এআইপি) সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিক ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে উন্নীত করতে চাই। কৃষিতে শিক্ষিত, মেধাবী ও সৃজনশীল তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাই।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, বাণিজ্যিক কৃষিখামার স্থাপনকারী, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও কৃষি সংগঠকদের উৎসাহ ও সম্মান জানাতে এআইপি সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে টেকসই কৃষির উন্নয়নে কৃষির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
মন্ত্রী জানান, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট ৫টি বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫জনকে এআইপি সম্মাননা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে (জাত/প্রযুক্তি) সর্বোচ্চ ১০ জন, কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগে সর্বোচ্চ ১৫ জন, রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন বিভাগে সর্বোচ্চ ১০ জন, স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত কৃষি সংগঠন বিভাগে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে সর্বোচ্চ ৫ জন।
তিনি জানান, এআইপি কার্ডেও মেয়াদকাল হচ্ছে ১ বৎসর। এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, ব্যবসা ও দাপ্তরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন ইস্যু করবে, নিজের ও পরিবারে সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা পাবেন।
২০২০ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) পাচ্ছেন ১৩জন। তারা হলেন কৃষি উদ্ভাবন বিভাগে (জাত/প্রযুক্তি)বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান (বাউধান-৩ এর জাত উদ্ভাবন), এ আর মালিক সিডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপান মালিক (২টি বীজ আলুসহ মোট ১০টি সবজির জাত উদ্ভাবন ও বাজারজাতকরণ), ফিউচার অর্গানিক ফার্মের সৈয়দ আব্দুল মতিন (মেহগনি ফলের বীজ থেকে তেল তৈরী যা জৈব বালাইনাশক প্রস্তুত) আলীম ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী (আলীম পাওয়ার ট্রিলার উদ্ভাবন)।
কৃষি উৎপাদন ও বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প বিভাগে ৬ জন এআইপি পাচ্ছেন। তারা হলেন নাটোর সদর উপজেলার ডাল সড়কের দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম এন্ড নার্সারীর মো. সেলিম রেজা। ঠাকুরগাঁওয়ের চৌধুরীরহাট চৌমেশ্বরীর মো.মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী, ঝালকাঠি সদর উপজেলার এশা ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচার ফার্মের মো. মাহফুজুর রহমান, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার চৌঠাইমহলের জাগো কেঁচো সার উৎপাদন খামারের প্রোপাইটার মো.বদরুল হায়দার বেপারী, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা কালাইয়ার নূর জাহান গার্ডেনের মালিক মো. শাহবাজ হোসেন খান ও কুমিল্লার লাঙ্গলকোট রেলস্টেশন সংলগ্ন বিছমিল্লাহ মৎস্য বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ও খামারের মালিক মো. সামছুদ্দিন (কালু)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।