পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচারাঙ্গনের সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বিদায় নিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মরহুম অ্যাডভোকেট মো: ফজলে রাব্বী মিয়া। গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী,আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণ,অ্যাটর্নি জেনারেল,সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি,সম্পাদক,সিনিয়র আইনজীবী,আদালতের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও ুেযাগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন,কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম,মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ,ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী,বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন জানাজায়।
জানাজার আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন,আমরা আমরা আজ এমন একজনের জন্য একত্রিত হয়েছি, যাকে মানুষ ভালোবেসে,জনগণ নির্বাচিত করে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছিলেন। আজও মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি স্মৃতিচারণ করে বলেন,প্রায় ১৪ থেকে ১৫ বছর আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আজকে আমি আপনাদের সবার কাছে বলবো,আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ৩৪২ নম্বর রুমে ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে বসেছি। এমন ভালো মানুষ আর দেখিনি। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুক। ওনার পরিবারবর্গ ও আত্মীয়-স্বজন সবাইকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।
প্রসঙ্গত: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ই এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়,১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ই জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।