পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা-৪ আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দেবীদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে কিল-ঘুষি মারার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন। বস্তুনিষ্ঠ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। যথাযথ ব্যবস্থা ও সমাধান না হলে ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদা, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য একযোগে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গতকাল রোববার রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান বীরু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আজিজ, ইয়াসিন মিয়া, রেজাউল হক জানু, আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট রিনা পারভীনসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার বলেন, বিগত ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদের মেম্বার্স ক্লাবে একজন সংসদ সদস্য (রাজী মোহাম্মদ ফখরুল) যেভাবে আমাদের সহকর্মী জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে (আবুল কালাম আজাদ) ব্যক্তিস্বার্থে ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তা শুধু ঘৃণিতই নয়, নজিরবিহীন কলঙ্কও বটে। কলুষিত করেছে জাতীয় মহান সংসদ ভবন এলাকাকে। আমরা বিশ্বাস করি, এই হীন ঘটনা বিব্রত করেছে সরকারকেও। সরকারের উন্নয়নের অর্জনকে বিনষ্ট করতে এ ঘটনা ভূমিকা রাখছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনা আহত করেছে দেশের ৪৯২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সব জনপ্রতিনিধিকে, তারা বিক্ষুব্ধও হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কৃত্রিম ভিডিওর মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। প্রকৃত ভিডিওটি মাহান জাতীয় সংসদের সার্ভারে সুরক্ষিত রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যেহেতু উভয়ই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এ বিষয়ে ঘটনার শিকার মো. আবুল কালাম আজাদ ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বরাবর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন। সভাপতি বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ, সংগঠন চলবে নিজস্ব বিধি-বিধানে। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, যিনিই হোন রাজনৈতিক সংগঠনকে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক সংগঠন করতে গিয়ে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে জাতীয় পবিত্র আঙিনায় লাঞ্ছিত করা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না।
জাতীয় শোকের মাস আগস্ট আসার আগেই দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ সময়ের দাবি। যদি এ সময়ের মধ্যে ঘটনার সন্তোষজনক সমাপ্তি না ঘটে তাহলে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় পর্যায়ে শোকের মাসের অব্যবহিত পরেই নিম্নলিখিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এমপি সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে যে দুর্বৃত্তায়ন ঘটানো হয়েছে, এর বস্তুনিষ্ঠ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। সংসদ সদস্যের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭ সেপ্টেম্বর জাতির এবং সব জনপ্রতিনিধির অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদের আনুষ্ঠানিক আবেদন। ১০ সেপ্টেম্বর দেশের সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের ঢাকা সমাবেশ। এর পরেও যদি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, কোনো উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাংবিধানিক নির্দেশনা ব্যতিরেকে কোনো মর্যাদাহানি, অধিকার অবমূল্যায়ন করা হয়, তাহলে ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদা, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্ব-স্ব এলাকার জনগণকে অবহিত করে আমরা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব। বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক কি-না? এবং এমপিকে ফাঁসানো হচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর রশিদ হাওলাদার বলেন, বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতি নিয়েই, তাই সবাই বসেছিলেন। সংসদ ভবন এমপিদের সুরক্ষিত এলাকা। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আরেকজন জনপ্রতিনিধিকে আঘাত করা মোটেও সমীচীন নয়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে ঘটনা শুনেই আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমরা চাই সুষ্ঠু সমাধান। এরপর দেবীদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে ফোনে লাউড স্পিকার দিয়ে কথা বলানো হয়। তিনি বলেন, ওই দিন এমপি নিজেই আমাকে আঘাত করেছেন। বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।