পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে-টুর চূড়ায় উঠলেন এভারেস্ট বিজয়ী পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন। গতকাল শুক্রবার বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। গত ১৭ জুলাই রাতে কে-টুর চূড়ায় উঠার জন্য যাত্রা শুরু করেন ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী। রেনেটা লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিখ্যাত ৩ পর্বতারোহী- মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা ও নির্মল পুরজা।
সেদিন এক ফেসবুক পোস্টে ওয়াসফিয়া নাজরীন বলেন, ‘আমরা আজ রাতে নিমসদাই, মিংমা তেনজি শেরপা এবং মিংমা ডেভিড শেরপার নেতৃত্বে কে-টুর জয়ের জন্য যাত্রা করছি। সব ঠিকঠাক থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই সুখবর আসবে। কোনো খবর না থাকলেও, ভালো আছি জানবেন। আমি সবচেয়ে শক্তিশালী দলের সঙ্গে আছি, তাই চিন্তা করবেন না। শুধু আমার জন্য জোর প্রার্থনা করবেন। আপনাদের সবার জন্য ভালোবাসা...’।
কারাকোরাম পর্বতমালার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে-টু। এভারেস্টের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত এটি। বিশ্বে ৮ হাজার মিটারের বেশি উঁচু যতগুলো পর্বত রয়েছে তার মধ্যে ৫টিই পাকিস্তানে। এগুলোতে আরোহন করা যেকোনো পর্বতারোহীর জন্যই চূড়ান্ত কৃতিত্বের।
উচ্চতায় এভারেস্টের পর হলেও পর্বতারোহীদের কাছে সবচেয়ে কঠিন পর্বত হিসেবে বিবেচিত কে-টু। ১৯৫৪ সাল থেকে মাত্র ৪২৫ জন এটির চূড়ায় উঠেছেন, যার মধ্যে ২০ জন নারী। গতকাল শুক্রবার ওয়াসফিয়া নাজরীনের সঙ্গে কে-টু জয় করেছেন ইরানি আফসানেহ হেসামিফার্ড, লেবানিজ-সউদী নাগরিক নেলি আত্তার ও পাকিস্তানের নাগরিক সামিনা বেগ। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে-টু জয় করলেন।
ওয়াসফিয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১২ সালের ২৬ মে এভারেস্ট জয় করেন। এরপর বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গও জয় (সেভেন সামিট) করেন তিনি। সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।