পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যাত্রী তোলার পর যান্ত্রিক ত্রুটির সংকেত পাওয়ায় কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই বসে থাকল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭। এসি বন্ধ, হাঁসফাঁস গরমে যাত্রীদেরও ভেতরে বসে থাকতে হল প্রায় চার ঘণ্টা। যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে গত সোমবার রাত পৌনে ২টার দিকে ১৫৮ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় নামে উড়োজাহাজটি। ওই ফ্লাইটের যাত্রী চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদোয়ান রনির ভাষায়, সেই অভিজ্ঞতা ছিল ‘বিভীষিকাময়’।
ফেইসবুকে তিনি লিখেছেন, বারবার ইঞ্জিনে ত্রুটি কিন্তু সব যাত্রী তুলে বন্দি করে রেখেছে প্লেনে। ইলেকট্রিসিটি নাই তাই এসিও বন্ধ, গরমে সবাই সিদ্ধ। কিন্তু কোনো যাত্রীকে নামতেও দেয়া হচ্ছে না। বাচ্চা-বয়োজ্যেষ্ঠদের কথা নাইবা বললাম সাধারণ যাত্রীরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
গত কিছু দিনে বার বার জটিলতায় পড়া বিমান এ ঘটনার পর নতুন করে সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ত্রুটি ধরা পড়ার পর বিমানের ভেতরে ওই গরমের মধ্যে তাদের আটকে রাখার কারণে।
এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, ইমিগ্রেশন শেষে উড়োজাহাজে চড়া যাত্রীদের আর নামার সুযোগ থাকে না।
রেদোয়ান রনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘রাত ৮.৩০টার ফ্লাইট অবশেষে ছাড়লো রাত সাড়ে ১২টায়। তারপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঢাকা এয়ারপোর্টে এসে আবার ১ ঘণ্টা সব যাত্রীকে অপেক্ষা করিয়ে বেল্টে লাগেজ ছাড়লো। দেখার কেউ কি আছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেঃ কিভাবে কারা চালাই এই বিমান?
রেদোয়ান রনির এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল বিমানের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকারের কাছে। তিনি বলেন, ড্যাশবোর্ডে সংকেত দেখে ফ্লাইট স্থগিত করেন। তারপর ভারতের জেট এয়ারের প্রকৌশলীদের খবর দেওয়া হয়। তারা ওটা প্রাথমিকভাবে মেরামত করে দেন। এরপর উড়োজাহাজটির পাইলট আবারও ওড়ার প্রস্তুতি নিলে এই সংকেত দিতে শুরু করে। এরপর ওই প্রকৌশলীদের আবার ডাকা হলে তারা এবার সেইফটি রুল অনুসারে উড়োজাহাজের পাওয়ার কানেকশনগুলো বন্ধ করে কাজটা করেছেন। সে কারণে পাওয়ার অফ ছিল। ফলে তখন এসি কাজ করেনি। এখন প্রকৌশলীরা যতটুকু সময় নিয়েছেন। তবে এটা চার ঘণ্টা না, প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা এ রকম ছিল। যাত্রী নিয়ে রাত ১টা ৪২ মিনিটে উড়োজাহাজটি ঢাকায় পৌঁছায়।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে যাত্রীদের নামানোও যায়নি। ওদের (বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের) একটা বিধিনিষেধ থাকে যে ইমিগ্রেশন শেষে অনবোর্ড হওয়ার পরে যাত্রীদের আর নামতে দেওয়া হয় না।
যা ঘটেছিল সেদিন : কলকাতা থেকে বিমানের ওই ফ্লাইট ছাড়ার কথা ছিল সোমবার রাত সাড়ে ৮টায়।ওড়ার আগ মুহূর্তে ল্যান্ডিং গিয়ারের সেন্সরে ত্রুটির সংকেত বাতি দেখতে পেয়ে পাইলট উড্ডয়ন স্থগিত করেন। এরপর দুই দফায় উড়োজাহাজটির ত্রুটি মেরামত করতে প্রায় চার ঘণ্টা লেগে যায়। এসময় বিমানের ভেতরে এসি ছাড়াই বসে থাকতে হয় ১৫৮ যাত্রীকে। চরম গরমে অসুস্থ বোধ করেন কেউ কেউ। পরে যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকায় নামে উড়োজাহাজটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।