পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আরও ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর। মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে এসব পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দুই শতক জমিসহ আধাপাকা নতুন ঘর। প্রধানমন্ত্রী আগামী ২১ জুলাই জমির দলিলসহ এসব ঘর হস্তান্তর করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করবেন। এজন্য লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ এবং পঞ্চগড়ে একটি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান থেকে পঞ্চগড়কে দেশের প্রথম শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণার করার কথাও রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৬৭৪টি পরিবারের জন্য ঘর তৈরি করা হচ্ছে। চরাঞ্চলে বিশেষ নকশায় নির্মিত হচ্ছে ১ হাজার ২৪২টি ঘর। প্রধানমন্ত্রী গত ২৬ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের উপহার হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর করেন। বাকি ৩২ হাজার ৭৭০টির মধ্যে আরও ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও ৬ হাজার ৫৪১টি ঘরের নির্মাণকাজও প্রায় শেষের পথে।
মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রায় ৯ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। গত বছরের ২৩ জানুয়ারি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ভূমি ও গৃহহীন ৬৩ হাজার ৯৯৯টি পরিবারের হাতে দুই শতাংশ জমি ও ঘর তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিনই ৭৪৩টি ব্যারাকে আরও ৩ হাজার ৭১৫ পরিবারকে পুনর্বাসন কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে একই বছরের ২০ জুন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবারকে জমি ও নতুন ঘর উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। তৃতীয় পর্যায়ের ৬৫ হাজার ৬৭৪টিসহ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম তিন পর্যায়ে বরাদ্দকৃত একক গৃহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩টি। যার মোট ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭২ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ১ টাকা।
গতকাল শনিবার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান ইনকিলাবকে বলেন, একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়িঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যতম বিশাল ও মানবিক এ উদ্যোগ সারাবিশ্বের কাছে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষমতা প্রমাণেরও একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
আগামী বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পঞ্চগড় জেলাকে প্রথম শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। জেলার তিনটি পৌরসভা বাদে পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৫০টি। তাঁদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে পঞ্চগড়ের নাম ঘোষণার পরও জেলার যে কোনো স্থান থেকে ভূমিহীন ও আশ্রয়হীন পরিবারের আবেদন পাওয়া গেলে তাদেরও ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।