পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তাকে দরকার। এই দেশকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনাকে দরকার আছে। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকেই বন্দী করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১১ জুন তার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রও মুক্তিলাভ করেছে।
গতকাল শনিবার শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেনা সমর্থিত তৎকালীন ১/১১ সরকারের সকল অন্যায়, অবিচার এবং দুর্নীতির একমাত্র আপসহীন প্রতিবন্ধক ছিলেন বলেই তাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি, অনাচার-অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হয়েছিল, যারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার দেশকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, যারা হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেছে, যারা দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য বানিয়েছিল সেই বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান গ্রহণ করবে। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, যে স্লোগান দিয়ে ও বক্তব্য রেখে তারা সরকার গঠন করেছিল, সেই অন্যায়-অবিচারের মধ্যে তারাই আবার যুক্ত হয়ে গেল।
মন্ত্রী বলেন, তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে অন্যায় কাজগুলো করছিল, দুর্নীতির সাথেও তাদের অনেকেই যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এই অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে তখন একমাত্র শেখ হাসিনাই কথা বলেছেন। বিএনপি ও তাদের নেতৃবৃন্দ সেইভাবে প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গ্রেফতারের কয়েকদিন পর বেগম খালেদা জিয়ার পার্সোনাল উইংয়ের একজন কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে বললো, আমাদের ম্যাডামকেও তো গ্রেফতার করা হতে পারে, আমরা একসাথে কিছু করতে পারলে ভালো হয়। তখন আমি জবাব দিয়েছিলাম, এই সিদ্ধান্ত তো দলীয় সিদ্ধান্ত হতে হবে। এটি আমাদের দল সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে আন্দোলন হবে। কারণ আমরা বিএনপির অনাচার-অবিচার অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলাম। সুতরাং আরেকটি অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আবার যারা অপরাধ করেছিল তাদের সাথে আমরা আন্দোলন করা সমীচীন হবে কিনা সেটা একটা বড় প্রশ্ন ছিল। আমার মনে হয়েছিল সেটা সমীচীন হবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নামেনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তখন আমাদের দলের অনেক বড়নেতা বেসুরে কথা বলেছেন, কিন্তু তৃণমূলে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল। যারা বেসুরে কথা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন তারা অনেকে ভয়ে দলীয় প্রোগ্রামেও যেতেন না, কেউ কেউ গেলেও অপদস্ত হয়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার মানসিকতা লালন করার আহবান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালে দল ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় নেত্রীকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম। আগামী নির্বাচনেও যদি দল ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে ইনশাল্লাহ ২০০৮ সালের মত ধস নামানো বিজয় আসবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।