Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাম বাড়াতে আগ্রহী কমাতে নয়

ভোজ্যতেলের দাম না কমানোয় ক্যাবের ক্ষোভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ১২:০০ এএম

দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম না কমানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংস্থাটি বলছে, দেশে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন দাম বাড়াতে যতটুকু আগ্রহী, দাম কমলে কমাতে তেমন আগ্রহী নয়। এ কারণে ভোজ্যতেলের বাজারে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।

ক্যাব বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগতভাবে দাম কমার পরও দেশে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী একাধিকবার আশ্বাস দিলেও সে আশ্বাসের বাস্তবায়ন হয়নি। একইসঙ্গে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কী শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করছে? এই কমিশন একপক্ষীয় কাজ করলে তা আইনের বরখেলাপ এবং বিষয়টি দেশের ভোক্তা স্বার্থের জন্য মারাত্মক প্রতিবন্ধক।
বিবৃতিতে ক্যাব উল্লেখ করেছে, যখন বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি ছিল, তখন পণ্যটি আমদানিতে সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার ছাড়াও ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট ছাড়, এলসি কমিশন ও এলসি মার্জিন প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর ওই সুবিধা নিয়ে আমদানিকারকদের তেল দেশের বাজারে এলে দাম কমার কথা ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার বিপরীত ঘটেছে এবং ভোক্তারা তার কোনও সুফল পায়নি।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে, দেশে তার বিপরীতে বাড়ানো হচ্ছে? আবার ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের উল্টো সুর, ভোজ্যতেলের এফওবি দাম কমলেও বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, দেশে বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়া এবং ডলারের উচ্চমূল্যসহ নানা ভৌতিক কারণে দাম আগের অবস্থানে ফিরছে না বলে দাবি করেন। যা ব্যবসায় সুশাসন, ব্যবসায়িক নীতি-নৈতিকতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে।
ক্যাব বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ২০০-৪৯০ ডলার কমলেও দেশে তার বিপরীতে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে এক মাসে দুই দফায় প্রতি লিটার সয়াবিনে দাম বাড়িয়েছেন ৫১ টাকা। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৯ সালে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৭৬৫ ডলার। ২০২০ সালে দাম ছিল ৮৩৮ ডলার এবং ২০২১ সালে সয়াবিনের টনপ্রতি দাম ছিল ১ হাজার ৩৮৫ ডলার। কিন্তু চলতি বছরের মার্চে একপর্যায়ে তা বেড়ে যায়। মার্চে বিশ্ববাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম হয় ১ হাজার ৯৫৬ ডলার। সর্বশেষ ১৩ জুলাই পাম অয়েলের টনপ্রতি দাম কমতে কমতে ৯৪১ ডলার এবং সয়াবিনের দাম নেমে আসে ১ হাজার ৩৫৩ ডলারে। কিন্তু দেশের বাজারে তা সমন্বয় করা হচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাম বাড়াতে আগ্রহী কমাতে নয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ