দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
বিশ্বের সকল ধর্ম ও দলের গবেষক ও জ্ঞানীগণ এ বিষয়ে এক মত যে, ইসলামের পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ সাঃ শুধু ধর্ম নহে, তিনি সাধারণ মানব ধর্মেরও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি সমগ্র মানব জাতির সার্বিক কল্যানে আত্মনিবেদিত ছিলেন। তিনি ধর্ম নিয়ে সহিষ্ণু হবার শিক্ষা দিয়েছেন। অন্য যে কোনও ধর্মের কিছুকে কটূক্তি করতে তিনি মুসলমানদেরকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। এ হেন উদার নবী সাঃ এর প্রতি কেউ যদি কটূক্তি করে তা হলে যে কোন ধর্মের চিন্তাশীলের প্রানে আঘাত লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। আর মুসলমানের ঈমানী দায়িত্বই হল, রাসূল সাঃ এর সন্মানহানীকর বিষয়ে মর্মাহত ও প্রতিবাদী হওয়া। প্রতিটি মুসলমান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, মর্যাদার দিক থেকে রাসূল সাঃ মানব জাতির কারও সাথে তুল্য নহেন। তিনি আকাশচুম্বী মর্যাদার অধিকারী। কারন এক ও অদ্বিতীয় মহান আল্লা-হর সীমাহীন মর্যাদার পরেই তাঁর শ্রেষ্ঠ নবীর পদমর্যাদা। “আর (তাদের জেনে রাখা উচিত যে,) ইজ্জত (ও প্রতিপত্তি) আল্লাহ তায়া’লারই রয়েছে, আর তাঁর রাসূলের এবং মু’মিনদের জন্য। কিন্তু মুনাফিকরা ইহা অবগত নহে।“ (সূরা ‘মুনাফিকুন’)
আল্লা’হ ও রাসূলের সাথে সম্বন্ধ থাকায় প্রকৃত সন্মান ও মর্যাদা মুসলমানদেরই। কিন্তু মুনাফিকরা নশ্বর বস্তু সমূহকেই সন্মানের উৎস মনে করে। (বঃ কুঃ)“আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।“(সূরা ‘নাশরাহ’) এজন্য সারা বিশ্বের মিনারে, মিম্বারে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লা-হ’ উচ্চারিত হয়ে থাকে। বাস্তবতঃই বিশ্বের কোন জ্ঞানী মানুষ এমনকি অমুসলমানও তাঁর নাম সন্মান প্রদর্শন ব্যতীত উচ্চারন করে না। মহান আল্লা-হ নবী পাকের সন্মান সমুন্নত রাখা ও শত্রুর শত্রুতা থেকে রক্ষার দায়িত্বও গ্রহন করেছেন। “মানুষের শত্রুতা থেকে আল্লা-হ স্বয়ং আপনার হেফাজত করবেন।“ (সূরা মায়েদা, ৬৭) মহান আল্লা-হর এ মহা আশ্বাস বাণী শত্রু বেষ্টিত মহানবী সাঃ এর জীবনে বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রিয় নবীজির সাথে শত্রুতা করে কুখ্যাত আবু জাহেলও রক্ষা পায়নি। আজও কেও রক্ষা পাবে না। শুধু সময়ের অপেক্ষা। সকল মুসলমানের অন্তরে এ বিশ্বাস অবশ্যই দৃঢ়মূল আছে। কিন্তু এ বলে প্রত্যেক মুসলমান অন্যায় প্রতিরোধে স্ব স্ব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পায় না। এ কারনেই বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা সাঃ এর প্রতি ভারতের নূপুর শরমা ও নবীন কুমার এ দুই বিজিপি নেতার কটূক্তি কোনোভাবেই কোনও ইসলামপন্থীর পক্ষে সহনীয় নহে। প্রিয় নবীজি সাঃ জাতির প্রত্যেককে হৃদয় দিয়ে ভালবাসেন। বিনিময়ে তাঁর প্রতিও প্রাণের চেয়ে বেশী ভাল বাসা ব্যতীত কেও পূর্ণ ঈমানের অধিকারী হতে পারে না। কারও পিতাকে, মাতাকে কেউ কটূক্তি করবে আর সন্তান নির্বাক থাকবে তা মানব স্বভাবের বিপরীত। ইসলাম সুষম সুন্দর স্বভাব ধর্ম। ইসলামের প্রতিটি বিধান মানব কল্যান ও বিশ্ব শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অনুকূলে। যিনি ছিলেন বিশ্ব মানবতা ও মুক্তির অগ্রদূত এবং যার জীবন দর্শন ছিল শুধু মানুষের কল্যান সাধনের নিঃস্বার্থ সাধনা এমন মহান সাধককে কটূক্তি করা বাস্তবিকপক্ষেই এক অভাবনীয় অশুভ কাণ্ড। তাই এক হাদিসে যথার্থই বর্ণিত হয়েছে, “যে ব্যক্তি নবীকে কটূক্তি বা গালি দিলো তার শাস্তি হোল মৃত্যুদণ্ড (তাবরানী)।“ এজন্য বিশ্বের ২০০ কুটি মুসলমান একযোগে অতীব মর্মাহত ও তাদের অপরাধের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে যারপরনাই প্রতিবাদমুখর হয়েছেন।
পাশ্চাত্য খৃস্টান মনিষীরাও যার শুধু গুণ ব্যতীত একটা সামান্য ত্রুটির সন্ধানও কেও সপ্রমান উল্লেখ করতে সক্ষম হয়নি, গুণের খনি এমন স্বর্গীয় মহা মানব সম্বন্ধে ইংরেজ মনিষীগনের মনের ভাষাও অতি সুস্পষ্টঃ গড়যধসসধফ (ঝস.) ধিং ধ মবহবৎড়ঁং ঢ়ৎবধপযবৎ ড়ভ ধ হবি ৎবষরমরড়হ. ইবংরফবং, যব ধিং ধ মৎবধঃ ংড়পরধষ ৎবভড়ৎসবৎ, ধ মৎবধঃ ংঃধঃবংসধহ, ধহ রফবধষ সধৎঃরধষ ষবধফবৎ, ধহ রসঢ়ধৎঃরধষ মৎবধঃ ঔঁফমব ধহফ ধ মৎবধঃ নঁরষফবৎ ড়ভ ঃযব নবংঃ হধঃরড়হ ধহফ ঃযব নবংঃ পরারষরুধঃরড়হ, ঃযব ষরশব ড়ভ যিড়স ঃযব ড়িৎষফ যধংহ’ঃ বাবৎ ংববহ. ঐব ধষড়হম রিঃয যরং ভধসরষু ঁংবফ ঃড় ষরাব ড়হ ড়হষু ফধঃবং ধহফ ধিঃবৎ বাবহ ভড়ৎ ধ সড়হঃয মরারহম ধধিু ধষষ ভড়ড়ফ ধহফ ফৎরহশ ঃড় ঃযব যঁহমৎু. মোহাম্মাদ সাঃ ছিলেন এক নূতন ধর্মের মহানুভব প্রচারক। অধিকন্তু, তিনি ছিলেন বড় সামাজ সংস্কারক, সুমহান্ রাষ্ট্রপতি, আদর্শ সমর নেতা, নিরপেক্ষ সুমহৎ বিচারক এবং তিনি ছিলেন উৎকৃষ্ট জাতি ও উৎকৃষ্ট সভ্যতা নির্মাতাও যার তুলনা এ পর্যন্ত বিশ্ববাসী খুঁজে পায়নি। তিনি তাঁর পরিবার সমেত পূরো মাসও শুধু খেজুর ও পানি নিয়ে জীবন ধারন করতেন বিলিয়ে দিয়ে সব খাদ্য ও পেয় অনাহারীর জন্য। ইহুদি ধর্মগুরুগন বিশ্ব নবীর অতি কাছে থেকে তাঁর চরিত্রের পরীক্ষা করতেন। কিন্তু তাদের পক্ষেও তাঁর বিপক্ষে সমালোচনার একটা শব্দও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। বরং তাঁর নিরপেক্ষ বিচার ও ঔদার্য লক্ষ্য করে বহু ইহুদি ধর্মগুরু ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। অথচ আজ চৌদ্দ শত বৎসর পরে এসে ভারত ভূমে বিশ্বনবীর পবিত্র চরিত্রের উপর কটূক্তি হয়েছে। ভারতে মুসলমানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অতি মর্যাদাপূর্ণ। আরব থেকে ভারতে ইসলাম ধর্মের বহু আদর্শ মহাপুরুষের আগমন ঘটেছে। তাঁদের পুণ্যময় আদর্শ চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে হিন্দু মুসলমান হয়েছে। আজও যদি খাঁটি মুসলমানের চরিত্র খুঁজে দেখা হয়, তা হলে আজও মুসলমানের প্রতি শ্রদ্ধাবান হওয়া সম্ভব। এখন থেকে প্রায় হাজার বৎসর পূর্বে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের সিলেটে হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাহঃ এর আগমনে হিন্দু রাজার জুলুমের রাজত্বের অবসান ঘটেছে। হিন্দুরা জাতিগতভাবে হিন্দু সমাজের সাধু পুরুষের প্রতি আস্থাবান ও ভক্ত। সত্যনিষ্ঠ ও সংযমী মুসলমান সাধক মহাপুরুষের প্রতিও তাঁরা আস্থাবান ও ভক্তিপরায়ণ। তাই তখন হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাহঃ এর সৎ ও সংযমী জীবন দেখে বহু হিন্দু মুসলমান হয়েছে।ভারতের আযমীরে হযরত মাইনুদ্দীন চিশতী রাহঃ এর আগমনে তাঁর পুণ্যময় জীবনাদর্শ চাক্ষুষ অবগত হয়ে লক্ষ লক্ষ হিন্দু একই দিনে মুসলমান হয়েছে। শুরু হয়েছিল ভারতে হিন্দু মুসলমানের একত্রে শান্তিপূর্ণ বসবাস। ভারতীয় উপমহাদেশে এ ছিল মুসলমানেরই অসামান্য অবদান। ধর্ম পালনের বিধিবিধান ব্যতীত তাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আর কোনও ব্যবধান বা বৈষম্য দৃশ্যমান ছিল না। ভারতে পাশাপাশি এ দু জাতির শান্তিপূর্ণ বসবাসের সে সোনালী ইতিহাস আবার ফিরে আসুক, তা কি কাম্য নয়? ভারতে হিন্দুরাও রাজত্ব করেছেন, মুসলমান শাসকেরাও রাজত্ব পরিচালনা করেছেন। অবশেষে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদীরা হিন্দু মুসলমান এ উভয় জাতির উপর শোষণের রাজত্ব কায়েম করেছে। দীর্ঘ কাল শোষিত হয়ে অবশেষে হিন্দু মুসলমান এক যোগে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। উভয় জাতির নেতাগণ ভারত স্বাধীনতার জন্য ঐক্য জোট করেছেন। ১৮৫৭ সনে ইংরেজদের বিরুদ্ধে শামেলীর জেহাদে প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহন করেন বিশেষত কুতুবুল আলম হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী রাহঃ, হাফেয যামীন রাঃ, কাসেম নানুতুবী রাঃ, মাওলানা রশীদ আহমদ গঙ্গুহী রাঃ, মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাঃপ্রমুখ পৃথিবী খ্যাত মনিষীগণ। জেহাদের প্রথম দিকে বহু ইংরেজ সৈন্য নিহত হয় ও অনেকে পলায়ন করে। কিন্তু সে জেহাদে হাফেয যামিন রাহঃ এর শাহাদত লাভের পরে মুজাহিদ বাহিনী মনোবল হারায়ে ফেলেন ও পরাজিত হন। অতঃপর শুরু হয় ইংরেজদের আলেম নির্যাতন ও নিধন নিষ্ঠুর কর্মসূচী। পেশোয়ার থেকে ঢাকা পর্যন্ত রুডের উভয় পাশের উঁচু বৃক্ষের প্রতিটা শাখাতে উলামায়ে কেরামের লাশ দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলন্ত ছিল। কারন হক্কানী উলামায়ে কেরামকে প্রলোভন দেখিয়ে কোনোভাবেই বশে আনা সম্ভব হয়নি। পুনরায় ১৯০০ সনের গোঁড়ার দিক থেকে শায়খুল হিন্দ হযরত মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রাঃ এর নেতৃত্বে ও হিন্দু মুসলমান ঐক্য জোটের ভিত্তিতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়। জেল জুলুম নির্যাতনে দেহ কঙ্কালসার হয়েছে কিন্তু তিনি তাঁর বার্ধক্যে পৌছার পরেও ইংরেজ সরকারের ছিলেন মহা ত্রাস। প্রায় সাড়ে তিন বৎসর মাল্টার জেল বরনের পরে ভারত ফিরে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব তিনি অর্পণ করেন তাঁরই নিজ হাতে গড়া প্রিয় ছাত্র শায়খুল ইসলাম সায়িদ হুসাইন আহমদ মাদানি রাহঃ এর উপরে। উভয়েই ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের মহান শায়খুল হাদীস। উপরন্তু নিজ ছাত্র ইতিপূর্বে মদীনার মসজিদে নববীরও প্রায় দেড় যোগের শায়খুল হাদীস ছিলেন। জ্ঞান-বুদ্ধি, কর্ম কৌশল ও উৎসর্গের দিক থেকে যেমন উস্তাদ তেমন সাগরিদ। ‘একেই বলে জানে শীনে শায়খুল হিন্দ’ অর্থাৎ শায়খুল হিন্দের সুযোগ্য প্রতিনিধি। তাই ব্রিটিশ বিরোধী সর্ব দলীয় ভারতীয় হিন্দু-মুসলমান সকল নেতৃবৃন্দ হযরত হুসাইন আহমদ মাদানি রাহঃ কে অকুণ্ঠ চিত্তে সর্ব দলীয় প্রধান নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। তিনিও অদম্য উদ্যম ও সাহস নিয়ে সারা ভারত ঘুরে আন্দোলনের অগ্নী ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। ইতিহাস স্বাক্ষী, ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাঁর অপূর্ব বীরত্ব দেখে মহাত্মা গান্ধীও বিস্ময়াভিভূত ও বিমুগ্ধ হয়ে জয় জয় ধ্বনি উচ্চারণ করতেন।
১৯৪৭ সন। ভারত স্বাধীন হল। স্বপ্ন ছিল, ব্রিটিশ থেকে আযাদী লাভের পরে ভারত উপ মহাদেশে হিন্দু মুসলমান নিজ নিজ ধর্মে থেকে শান্তিসহ পাশাপাশি বসবাস করবে। কিন্তু তা হল না। তাই এখানে মিলে যায় বাংলা সঙ্গীতের পংতিঃ ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল।‘ ভারত স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানের হকপন্থী ওলামা ও সুফী, সাধক মহাপুরুষগনই নির্যাতন ও নিধনের শিকার হয়েছেন সব চেয়ে বেশী। পাশে থেকে হিন্দু জাতি স্বাধীনতার সুখের ভাগী হয়েছেন। আর বর্তমান ভারতে সে মুসলমানের পয়গম্বরের মানহানির ঘটনাও ঘটল। এখানে মুসলমান দুর্বিষহ নানাবিধ নির্যাতনের শিকার। তারা স্বাধীনভাবে তাদের নিজ ধর্ম পালনেও বাঁধাগ্রস্ত। প্রায় শত বর্ষব্যাপী মুসলিম মহাপুরুষগণের আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ভারত আযাদ হল। আর এ হেন ভারতের বুকে মুসলমানের প্রতি এত অবিচার, এত নির্যাতন! এর চেয়ে নির্মমতা আর কি হতে পারে? দুঃখ ! ‘যে ধনে হয়ে ধনী, মণিরে মান না মণি।’ আরব জাহানের পরে ভারত এমন ভূখণ্ড যেখানে অসংখ্য মুসলিম মহা মনিষীর জন্ম হয়েছে। ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের প্রাণকেন্দ্রও ভারতেই অবস্থিত। ওলী, দরবেশ, পীর-মাশায়েখের নিঃস্বার্থ কর্ম ক্রিয়া ও পুণ্যময় পদচারনায় এ ভূখণ্ড যে কত বরকতের দেশ তা বর্তমান ভারত সরকারের অজানা হলেও বিশ্ববাসীর নিকট এ এক পুণ্যভূমি। ইউরুপ, আমেরিকা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শীর্ষ স্থানে। কিন্তু অপার্থিব মহা জ্ঞান বিশারদের ভূখণ্ড হিসেবে ভারতের স্থান আরবেরই পরে। অথচ এ ভূখণ্ডের মুসলমান এত নিগৃহীত!
সান্ত্বনা শুধু প্রত্যাশায়। গঙ্গার পানিতে স্নাত হয়ে বর্তমান ভারত সরকারের বোধোদয় হবে, নির্যাতিত মানবতার আহাজারি থেকে বৈষম্য নীতির অবসান ঘটবে। মুসলমান মহাপুরুষগণের অসামান্য অবদান স্বীকৃতি পাবে। বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু মুসলমান স্ব স্ব ধর্মের স্বাধীনতা নিয়ে শান্তিসহ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করেন, ভারতের মুসলমানও একই অভিন্ন সুবিধা পাবেন। কে সে মহান রাষ্ট্রপতি যার পুণ্য করস্পরশে ভারত গগনে সাম্যের সূর্য উদিত হবে, জাতি ভেদ নৃশংসতার সমাপ্তি ঘটবে! হিন্দু, মুসলমান একই বৃন্তে দুটি ফুলের ন্যায় সাম্যের সমাজে বসবাসের সুযোগ পাবে! এ ভাবে আধুনিক কল্যাণকামী রাষ্ট্রের সংজ্ঞা সার্থক হবে!
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, নিমসার জুনাব আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কু
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।