পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আইন ও সংবিধান সম্মতভাবে আমি জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলীর আপিলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রচ- বৈরী পরিবেশের কারণে আমি মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছি। আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। অবসরোত্তর সুবিধায় থাকা অবস্থায় মীর কাসেম আলীর পক্ষে মামলা লড়তে এসে সমালোচনার মুখে ওই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
গতকাল (সোমবার মীর) কাসেমের আপিল মামলার তৃতীয় দিনের শুনানির উপস্থিত হয়ে তিনি আদালতের কাছে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলেন। আইনজীবীর দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে আদালতকে তিনি বলেন, “স্যরি মাই লর্ড। অন্য দুজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রয়েছেন। আমি নিজেকে প্রত্যাহার করতে চাইছি।” এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি এই মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করছেন?” জবাবে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ইয়েস।’
পরে আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আইনজীবী হিসেবে মামলায় অংশ নেয়ার অধিকার আমার রয়েছে। এটি অসাংবিধানিক বা অনৈতিক নয়।”
অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারক বলেন, গত বছর ১২ ডিসেম্বর অবসরে যাওয়ার পর ৩ জানুয়ারি থেকে তিনি নিয়মিত আপিল বিভাগের বিভিন্ন মামলার শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মীর কাসেমের মামলা ছাড়াও আরও দুটি মামলায় তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের বিপরীতে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। “অন্য মামলার ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেল কোনো প্রশ্ন না তুললেও এ মামলায় (মীর কাসেম) আমার অংশ নেয়ার বৈধতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যা অনাকাক্সিক্ষত।”
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী এই আপিল মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে উপস্থিত হয়ে পেপারবুক থেকে অভিযোগ পড়ে শোনান। ওইদিনই তার অবসরোত্তর সুবিধায় থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, নজরুল ইসলাম চৌধুরী হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে অবসরকালীন সুবিধায় সরকারি বাসভবন, গাড়ি ও গানম্যান পাচ্ছেন। এ অবস্থায় আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়া ‘নৈতিকতার চরম বিরোধী’। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সেদিন বলেছিলেন, সাবেক ও বর্তমান বিচারপতিরা রীতি ও আইন মেনে চলবেন বলেই তিনি আশা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।