পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম দুই সেতু পারাপার হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের লাখ লাখ যানবাহন। এ যানবাহনগুলো চলাচলের মাধ্যমে টোল হিসেবে আদায় হয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা। গত তিন দিনে পদ্মা সেতুতে ৭ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫০ ও বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৫ কোটি ১৮ হাজার ২০০ টাকা আদায় হয়। আদায় করা এই টাকা জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পদ্মা সেতুতে গত ৮ জুলাই টোল আদায় হয়েছে মোট ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। ৯ জুলাই আদায় হয় ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা। ১০ জুলাই আদায় হয় ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৮৫০ টাকা। ১১ জুলাই আদায় হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ টাকা। এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ১০ জুলাই আদায় হয় ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা। ১১ জুলাই আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু দিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার বেলা ১১টা ৫৯ মিনিট অর্থাৎ, এই তিন দিনে ৭৪ হাজার ২২২টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১০ কোটি ৯৭ লাখ ৯ হাজার ৬০০ টাকা।
পদ্মা সেতুতে বৃহস্পতিবার ২২ হাজার ৭০৩টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫০ টাকা। শুক্রবার রেকর্ড পরিমাণ ৩১ হাজার ৭২৩টি যান পারাপারে আয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। উদ্বোধনের পর এটি এ পর্যন্ত রেকর্ড টোল আদায়। আর শনিবার ১৯ হাজার ৭৯৬টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা। এই তিন দিনে মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা হয়ে সেতু পার হয়েছে ৪৪ হাজার ৫৭৫টি যানবাহন। এতে এ পথে ৫ কোটি ৮২ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। আর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজা হয়ে সেতু পাড়ি দিয়েছে ২৯ হাজার ৬৪৭টি যানবাহন। এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫০ টাকা। ঈদ উপলক্ষ্যে প্রতিদিনই আগের দিনের রেকর্ড অতিক্রম করছিল। প্রথম ১২ দিনে ২ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি যান পদ্মা সেতু পারাপার হয়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান জানান, ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের প্রথম দিনে পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে ৫১ হাজার ৩১৬টি যান পারাপার হয়েছে। উভয় প্রান্তে প্রথম দিনের টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২৬ হাজার ৫৮৯টি যানবাহনে টোল উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে প্রথম দিন ২৪ হাজার ৭২৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা। দ্বিতীয় দিন ২৭ জুন মাওয়া প্রান্তে ২২ হাজার ৭৮০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৫০ টাকা।
এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ১০ হাজার ৫৯৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৯০০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ১২ হাজার ১৮৩টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৫০ টাকা। ২৮ জুন মাওয়া প্রান্তে ১৪ হাজার ৪৯৩টি যান পারাপারের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৫০টাকা। ২৯ জুন উভয় প্রান্তে ১৪ হাজার ১০৫টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৬ হাজার ৯৮৯টি যানবাহনের বিপরীতে ৯৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৭ হাজার ১১৬টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫০ টাকা।
৩০ জুন মাওয়া প্রান্তে ১৪ হাজার ৪১০টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৭ হাজার ৫১৫টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৬ হাজার ৮৯৫টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৯৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
১ জুলাই উভয় প্রান্তে ২৬ হাজার ৩৯৮টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ২০০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ১৩ হাজার ৮০১টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয় ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ১২ হাজার ৫৯৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২ জুন উভয় প্রান্তে ১৮ হাজার ৪টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৭১ হাজার ৬৫০টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৮ হাজার ৩৭৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫০টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৯ হাজার ৬২৭টি যানবাহনের টোল আদায় হয় কোটি ২৩লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা।
৩ জুন উভয় প্রান্তে ১৩ হাজার ৩৯১টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৬ হাজার ৬০৫টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ৯৪ লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৬ হাজার ৭৮৬টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ৯৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৫০ টাকা। ৪ জুন উভয় প্রান্তে ১৩৬২৪টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৬ হাজার ৪১৪টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয় ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৭ হাজার ১০টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ২৫০ টাকা।
৫ জুন উভয় প্রান্তে ১৫ হাজার ৩৯৩টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭০০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৭ হাজার ৬৩১টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয় ১ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৮৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৭ হাজার ৭৬২টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয় ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫০ টাকা। ৬ জুন উভয় প্রান্তে ১৬ হাজার ৭০৯টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৮ হাজার ৮৭৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ৭ হাজার ৮৩২টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উত্তোলন করা হয় ১ কোটি ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ টাকা। ৭ জুলাই ২২ হাজার ৭০৩টি যান পারাপারে আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫০ টাকা।
৮ জুলাই ৩১ হাজার ৭২৩টি যান পারাপার হয় এতে টোল আদায় হয়েছে মোট ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। ৯ জুলাই ১৯ হাজার ৭৯৬টি যান পারাপার হয় এতে আদায় হয় ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা। ১০ জুলাই ১১ হাজার ৯৫৪টি যান পারাপার হয় এতে আদায় হয় ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৮৫০ টাকা। ১১ জুলাই ৩২ হাজার ৪৪০টি যান পারাপার হয় আর আদায় হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ টাকা।
এদিকে, ঈদের আগের ৩ দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৯ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় ১১টি বুথ দিয়ে এবং পশ্চিম পাড়ে নয়টি লেনের বুথ থেকে টোল আদায় করা হয়। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদ যাত্রায় বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়। ঈদের আগের তিন দিন বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৫০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকা
স্বাভাবিক সময়ে এই সেতু দিয়ে ১৩-১৪ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এই তিন দিন পারাপার হয়েছে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন। গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে। ওইদিন তিন কোটি ৩৪ লাখ সাত হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়। আর আগে গত ঈদে ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ২শ’ টাকা টোল আদায় হয়েছিলো।
সেতুর কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৫৯৫টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন ছিল ২৫ হাজার ১১৩টি। আর ঢাকাগামী যানবাহন ছিল ১৮ হাজার ৪৮২টি। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮১৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৭২টি যানবাহন উত্তরবঙ্গের দিকে এবং ১২ হাজার ৮৭৮টি যানবাহন ঢাকার দিকে যায়। ওইদিন টোল আদায় হয় তিন কোটি নয় লাখ ছয় হাজার ৫০ টাকা।
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ঈদের আগের দিন শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৯৩৪টি যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৪৩৫টি উত্তরবঙ্গের দিকে এবং ১০ হাজার ৫০৩টি ঢাকার দিকে পার হয়। টোল আদায় হয় ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫০ টাকা। ১০ জুলাই ১৬ হাজার ১৮০টি যান পারাপার হয় এতে আদায় হয় ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা। ১১ জুলাই ১৭ হাজার ৭৮৪টি যান পারাপার হয় আর আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫০ টাকা।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।