পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে আমরা এখন বড় দুর্বিপাকে আছি। চলমান এই সঙ্কট উত্তরণের পথ অতিক্রম করার অভিপ্রায়ে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বঙ্গবন্ধু সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫ জুলাই ১৯৭২ সাল থেকে বোর্ড অব ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিনকে স্থাপন করার জন্য ১২ সদস্য একটি কমিটি ঘোষণা করে। স্বাধীনতার পর এটিই প্রথম নিয়োজিত সরকারি কমিটি যার মাধ্যমে এদেশে আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ফলে দিনটির গুরুত্ব বিবেচনা করে আয়ুর্বেদ ও ইউনানিকে স্বমর্যাদায় পুনঃস্থাপনের দিবস হিসেবে একে জাতীয় আয়ুর্বেদ ও ইউনানী দিবস ঘোষণার তাগিদ সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) জাতীয় আয়ুর্বেদ ও ইউনানী দিবস-দাবি বাস্তবায়ন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (প্রাচি) উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান বলেন, কোনোকিছু প্রাচীন হলে ভালো হবে এবং সেটাকে ধরে রাখতে হবে সেটা কোনো কথা নয়। বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসা সম্পর্কে অবগত, আন্তরিক। তড়িঘড়ি করে কোনো কিছুই শুভকর হয় না। আমরা প্রত্যাশা করি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসা সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং ৫ জুলাইকে আয়ুর্বেদ ও ইউনানি দিবস বাস্তবায়নে ঘোষণা দিবেন। তিনি বলেন, ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেলে ইনশাল্লাহ বিজয় হবে। আমরা সে পথেই অগ্রসর হচ্ছি।
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (প্রাচি) শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের কাছে সার্বভৌম জনগণ যে কীভাবে জিম্মি হতে পারে তা সম্ভবত বাংলাদেশের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি অবস্থা দেখলে বুঝা যায়। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই অবস্থায় আয়ুর্বেদ ও ইউনানি অবস্থা দত ও মানসম্মত পরিবর্তন না করলে আগামী দিনের জনস্বাস্থ্য ব্যাপক হুমকিরমুখে পড়বে।
অবিলম্বে জাতীয়ভাবে মেডিসিনাল প্ল্যান্ট বোর্ড গঠন ও সারাদেশে সরকার থেকে স্থাপিত হারবাল গার্ডেনগুলোকে জার্মপ্লাজম সেন্টারের রূপান্তর করে আমাদের ঔষধি উদ্ভিদ জগতকে রক্ষা করতে হবে, অন্যথায় আমাদের মানবিক বিপর্যয় সুনিশ্চিত। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান কবিরাজ আব্দুর রহমান, কবিরাজ মোতালেব মতিন, হেকিম কামরুজ্জামান, হেকিম এম এ করিম সিদ্দিকী, হেকিম কালাম পাটোয়ারী, নুর মজিদ আয়ুর্বেদ কলেজের প্রিন্সিপাল মো. মামুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।