পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর উত্তরা, গুলশান ও গ্রীন রোডে রাজউক অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে এবং কয়েকটি ভবন মালিককে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজউক এ অভিযান চালায়। পৃথক ৩টি অভিযানে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬০ জন পুলিশ সহযোগিতা করেন। উত্তরায় ১৬টি ভবনের কার পার্কিংয়ে, গুলশানে ২০টি কার পার্কিংয়ে এবং গ্রীন রোডে ৬টি কার পার্কিংয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ওই সব এলাকায় কয়েকটি ফুটপাতেও অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার জাকির হোসেন জানান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে । প্রথম দফায় কার পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এছাড়া রাজউকের বেদখলকৃত জমিও উদ্ধার করা হবে।
রাজধানীর উত্তরা ৬নং সেক্টরে এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পাশে এবং গুলশানে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রাজউক। উত্তরায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার জাকির হোসেন এবং উত্তরা জোনের রাজউকের অথরাইজড অফিসার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অন্যদিকে গুলশানে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদ মিয়া ও অথরাইজড অফিসার মো. আদিলুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রতীক টাওয়ার, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ৭১নং বাড়িতে এবং গুলশান এভিনিউয়ের ৫৭নং রোডের কয়েকটি ভবনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া গ্রীন রোডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন ও অথারাইজড অফিসার আ জ ম শফিউল হান্নানের নেতৃত্বে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চলে। পৃথক এ ৩টি উচ্ছেদ অভিযানে ৩০-৩৫ জন শ্রমিক ও ৬০ জন পুলিশ সদস্য অংশ নেয়। উত্তরায় হাউজ বিল্ডিং ৬নং সেক্টরে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে এনসিসি ব্যাংক ভবনের নিচতলায় কার পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই ভবনের পাশে আরো ৫টি স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে।
রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার জাকির হোসেন বলেন, ভবনের নকশায় পার্কিংয়ের অনুমোদন নিয়ে সেই জায়গায় অবৈধভাবে দোকান গড়ে তোলায় সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রাজউকের অথরাইজড অফিসার (জোন-২) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দুই মাস ধরে উত্তরার প্রায় দুইশ’ দোকান আমরা উচ্ছেদ করেছি, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আমিন কমপ্লেক্স, এইচএম প্লাজা অন্যতম। তিনি বলেন, মূলত, রাজধানীর রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে রাজউকের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উচ্ছেদ চালানো হচ্ছে।
গুলশান এভিনিউএর ৫৭নং প্লটের বে ডেভেলপমেন্ট লি.’র বেইজমেন্টের কার পাকিংয়ের স্থানে অবৈধভাবে নির্মাণ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে। এ ভবনের সামনের ফুটপাতে উপর র্যাম্প অপসারণ করা হয়েছে এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া নকশাবহির্ভূত অবৈধ স্থাপনার কারণে আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ৭১নং বাড়ির বেইজমেন্টে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয়েছে। নকশাবহির্ভূত স্থাপনার কারণে সুবাস্ত ইমাম স্কোয়ারের মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গ্রীন রোডে ১৯৬/১নং ভবনের বেইজমেন্টের কার পার্কিংয়ের স্থানে গড়ে তোলা দোকানপাট ও ব্যবসায়িক কার্যালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং এর আগে এসব স্থাপনা অপসারণ না করায় ৩ লাখ টাকা এবং কমফোর্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিককে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।