পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আষাঢ় মাসে এই রোদ, এই বৃষ্টি। আবহাওয়ার পাশাপাশি তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন। আর এতেই বাড়ছে জ্বর-সর্দি। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি দেশে ভাইরাল ফিভারের পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণেরও নতুন ঢেউ প্রবেশ করেছে।
এ অবস্থায় করোনা না ডেঙ্গু, নাকি মৌসুমি জ্বর এ নিয়ে দ্বিধায় রোগী ও তার স্বজনরা। চিকিৎসকরা বলছেন, এই মুহূর্তে জ্বর এলে বাসায় বসে থাকার সুযোগ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করাতে হবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর খান বলেন, এখন তো ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে দিনের বেলায় প্রচুর গরম, আবার তার ভেতরে হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলো। কেউ কেউ একটু বৃষ্টিতেও ভিজল, ফলে হঠাৎ প্রচুর গরম থেকে শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। তাছাড়া বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে ফিরে অনেকে বাসায় বা অফিসে গিয়ে এসির নিচে বসে যান। এই যে তীব্র গরম আর হঠাৎ ঠান্ডার একটা সংমিশ্রণ হয়েছে, এখান থেকেই জ্বর-সর্দি চলে আসতে পারে। জ্বর-সর্দিতেই যদি কোভিড আর ডেঙ্গুর পরীক্ষাটা করে ফেলা যায়, তাহলে আর কোনো দ্বিধা থাকবে না। শুরুতেই যদি পরীক্ষাটা করে নেওয়া যায়, তাহলে পরে জটিলতা তৈরি হয় না।
রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, সর্জি-জ্বর বেশি হচ্ছে এটা বোঝা যাচ্ছেÑ প্যারাসিটামল, নাপা, এইস জাতীয় ওষুধের বেশি বিক্রি। রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, মাতুয়াইল হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
মিজানুর রহমান। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। গত দুই দিন ধরে তিন বছরের শিশুসহ তার পরিবারের তিন সদস্যই সর্দি-জ্বরে ভুগছে। তিনি কোভিডের বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। সাধারণ সর্দি-জ্বর ভেবে এখনও নেননি কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ। চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিচিত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাচ্ছি। তবে এখনও কোনো হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা চিকিৎসা করানো হয়নি। দেখছি পরিচিত আরও কয়েকটি পরিবারেও এরকম সর্দি-জ্বর হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি না সেটি সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা না ডেঙ্গু।
শুধু মিজানুর রহমান পরিবার নয়, জ্বর-সর্দির রোগী এখন ঘরে ঘরে। মিজান জানালেন, তিনি যে মহল্লায় থাকতে সেখানকার প্রতিটি ফ্লাসে সর্দি-কাশির রোগী রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ প্রবেশ করেছে। এই ঢেউয়ে সংক্রমণ দ্রুতগতিতে চূড়ার দিকে যাচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন বলছে, গত এক মাসে আগের মাসের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। এ অবস্থায় যারা জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছেন বা হননি সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সঙ্গে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা।
দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও এমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, করোনাভাইরাস একটি মিউটেন্ট ভাইরাস, এটি খুব দ্রুতই তার চরিত্র বদলায় এবং নতুন রূপ ধারণ করে। আর বর্তমানে সংক্রমণ যেটি বাড়ছে সেটিও অমিক্রনের দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্টের (বিএ-৪, বিএ-৫) প্রভাবে। এই দুটি এক হয়ে অনেক সংক্রমণশীল হয়ে উঠেছে, একজন থেকে এটি ১০ জনে ছড়িয়ে যেতে পারে। তিন সপ্তাহ আগেও তো আমরা ভালো ছিলাম। দেশে সংক্রমণের হার অনেক কম ছিল। কিন্তু এখন সেটি লাফিয়ে বাড়ছে। কারণ মানুষের মধ্যে একটি শিথিলভাব চলে এসেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।