পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএসএফের ধাওয়ায় নদীতে ডুবে মারা যাওয়া নিখোঁজ দুই শিশুর লাশ ৩৬ ঘন্টা পর নদী থেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর কাশিয়াবাড়ী সীমান্তের জিরো লাইনের দিগলা কুরা থেকে ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করেছে তারা । এ সময় দিগলা কুর নদীর দু’ধারে বিজিবি বিএসএফের টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে কবে ভারতীয় প্রশাসনের হাত থেকে তাদের লাশ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে, তার কোন হদিস মিলছে না ওই শোকাহত পরিবারের কাছে। এদিকে বিজিবি জানিয়েছেন, লাশ এক সপ্তাহ মর্গে রাখা হবে। মৃত শিশুদের কাগজপত্র ও ছবি বিএসএফের কাছে দেয়া হলে ফেরত আনার জন্য পরবর্তী আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে।
গত শুক্রবার ভারতের দিল্লী থেকে মৃত পারভীন খাতুন (৮) ও শাকিবুল হাছান ( ৪) তার বাবা মায়ের সাথে কোরবানি ঈদ পালন করার জন্য চোরা পথে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এ সময় ভারতীয় দালালরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকে সীমান্তে নিয়ে এসে এক বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন । ওই দিন মধ্য রাতে ৯৪৩ নং মেইন পিলারের পাশে ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে পার করার চেষ্টা করেন দালাল চক্র। তারা কাঁটাতার পার করে নদী পথে নিয়ে আসেন । ভারতের দিগলা কুর নদীর তীরে তাদেরকে রাখেন । এ সময় ভারতের শেউটি -১ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখার পর ধাওয়া করে । এ সময় দালালরা তড়িঘড়ি করে নদী পার হওয়ার জন্য তাদেরকে বলেন। দুই শিশুর বাবা রহিম উদ্দিন মালপত্র নিয়ে নদীর মাঝ পথে যান। এর মধ্যে মৃত ভাইবোন তার মা ছামিনার কাছে ছিলেন । কিন্তু তারা কেউই সাঁতার জানে না। স্রোতের টানে রাতের অন্ধাকারে হাত থেকে ছুঁটে গিয়ে নিখোঁজ হন মৃতরা। দম্পতি কষ্ট করে দেশে আসে।
এদিকে বিএসএফের ধাওয়ায় নদীতে ডুবে যাওয়া ভাই বোনের লাশ রোববার সকাল বেলা নিখোঁজ স্থানে নদীর পানিতে ভেসে উঠে। দুইশ গজ অদুরে তাদের লাশ স্থানীয়রা দেখে খবর দেয় বিজিবিকে । নদীটি ভারতের ভুখণ্ড হওয়ায় বিজিবি এ বিষয় বিএসএফকে অবগত করে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিজিবি -বিএসএফের পাহাড়ায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানার পুলিশ মৃতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মৃতদের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের পশ্চিম শুকাতী গ্রামে। তার বাবার রহিম উদ্দিন। মার নাম ছামিনা বেগম। নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেছের জানান, আমার এলাকার মৃত শিশুদ্বয়। লাশ ভারত থেকে ফেরত নিয়ে আসার জন্য কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্পে এসেছি। তারা জানিয়েছে মৃতদের ও তার বাবা মায়ের কাগজপত্র লাগবে।
এ প্রসঙ্গে লালমনিহাট ১৫ বিজিবি’র অধীনে কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার কবির হোসেন জানান, নদীতে দুইটি লাশ ভাসছে এ নিয়ে বিএসএফকে অবগত করা হয়েছে । সে কারণে উভয়ের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ভারতের ১৯২ বিএসএফের শেউটি-১ ক্যাম্পের বিএসএফের ইন্সপেক্টোর এস এইচ শংকর কুমারসহ ৬ সদস্য দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আরো জানিয়েছেন মর্গে শিশুদের লাশ এক সপ্তাহ থাকবে। বাংলাদেশী কাগজপত্র পাওয়া গেলে মানবিক বিবেচনায় নিবেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।