Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাসিক নির্বাচনে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে এখন বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নাসিকের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার শুরু থেকেই গডফাদারদের দাপট প্রদর্শনের ভঙ্গি ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে। এখন সেখানে চলছে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র জমা নিয়ে নির্বাচনের পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ করার পাশাপাশি এ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।
সেনা মোতায়েন নিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বক্তব্যের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দরকার নেই। কিন্তু গতবার যখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন, তথন তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছিলেন। আজকে প্রয়োজন নাই কেন? সেদিন যখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তখন প্রয়োজন ছিল, কারণ তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা ছিলেন। এখন তার প্রয়োজন হচ্ছে না। তার মানে সরকারি মেকানিজম সব তার পক্ষে থাকবে, যাতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ না হয়, নিজের মতো করে নিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য তিনি সেনা মোতায়েন চাচ্ছেন না। আমরা তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, তার এ বক্তব্য একজন রাজনীতিবিদের যে ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতি সেটার বরখেলাপ বলে আমরা মনে করি। তিনি যখন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, তখন রাষ্ট্রীয় আক্রমণে ভয় ছিল, তখন সেনাবাহিনীর কথা বলেছিলেন। এখন সরকারি আক্রমণের ভয় নেই বলে এবং তার পক্ষে যেনতেনভাবে জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে এখন তিনি সেনা মোতায়েনের কথা বলছেন না।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা সানাউল্লাহ মিয়া, অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মুনির হোসেন, আবদুল আউয়াল খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নাসিক নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আগামী ২২ ডিসেম্বর সিটি নির্বাচন যাতে প্রতিযোগিতামূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অবাধ এবং ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, সেটি যেন বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিদায়ের প্রাক্কালে নিশ্চিত করতে পারে, সেদিকে কমিশনকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জে দলবাজ প্রশাসনকে সরিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ প্রশাসন বসানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের সাধারণ জনগণ, স্কুল-কলেজের মেয়েদের অভিভাবক, সমাজের বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারাও নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন শাসকদলের সন্ত্রাসীদের হাতে। জমি দখল, প্রাণনাশের হুমকি, শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন ছাড়াও ক্ষমতাসীনদের হাতে নির্মমভাবে খুন হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ জড়িত থাকায় কোনো বিচার পান না ভুক্তভোগীরা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই এসব নারকীয় ঘটনা ঘটছে। সংঘটিত কোনো ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হলে দায় এড়াতে নামেমাত্র গ্রেফতার কিংবা দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েই খালাস। বিচারহীনতার কারণে এসব জঘন্য ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। ঝিনাইদহের শৈলাকুপা, বরগুনার তালতলী, খুলনার কয়রাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন সংগঠনের হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রুহুল কবির রিভজী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাসিক

২০ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ