পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাবি রিপোর্টার : পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের ৫৫ জন শিক্ষার্থীর অনশন উপেক্ষা করে তাদেরকে ছাড়াই প্রথমবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে বিভাগটি। নিয়ম অনুযায়ী ৬০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত না থাকায় ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এর আগে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে প্রথমবারের মত সুযোগ দেয়ার দাবিতে গত রোববার থেকে বিভাগের সামনে টানা অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। গতকাল সোমবারও এ কর্মসূচির সাথে যোগ দিয়েছে দ্বিতীয়বর্ষের পরীক্ষা বঞ্চিত আরো ৪৫ জন শিক্ষার্থী। টানা অনশনে তাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে শিশির নামে একজনকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। এছড়া সুমাইয়া খন্দকার মৌ ও আফিফা অন্বেষাকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগে শূন্য শতাংশ উপস্থিতি থাকলেও পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়েছে, তবে নতুন সভাপতি এসে কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন। ফলে অনেকে পরীক্ষ দিতে পারছে না। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ ও পরীক্ষার সময় পরিবর্তনের দাবিতে রোববার বেলা ১১টা থেকে বিভাগের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ওই শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী যাদের ৬০ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি আছে তাঁরাও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। দ্বিতীয়বর্ষের আগামী ১৫ মার্চ চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ। তবে বিভাগের শিক্ষকেরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই আমরা চলছি। ক্লাসে উপস্থিত না থাকার কারণেই তারা ডিসকলিজিয়েট (ফরম পূরণের জন্য অযোগ্য) হয়েছেন।
বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আবু নাসের মো. ওয়াহিদ জানান, তাদের বিষয়ে মঙ্গলবার একাডেমিক কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে, সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।