পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : চিকিৎসাবিষয়ক দাতব্য সংস্থা মেদসা স’ ফ্রঁতিয়ের বা এমএসএফ বলছে, তাদের সহযোগিতায় সিরিয়ায় পরিচালিত একটি হাসপাতালে ইচ্ছাকৃতভাবে বোমা ফেলা হয়েছে। সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, ইদলিব প্রদেশে ৩০ শয্যার এই হাসপাতাল ধ্বংস হওয়ায় ৪০ হাজারের মতো লোক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। এই হামলার জন্য এমএসএফ এখনও পর্যন্ত সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বলছে, রুশ বিমান থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। মারাত আল নুমান নামের এই জায়গাটিতে মেদসা স’ ফ্রঁতিয়ের সহায়তায় পরিচালিত হাসপাতালটিতে দু’দফা আক্রমণে চারটি মিসাইল আঘাত হানে।
এদিকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমদ দাউতুগ্লু বলেছেন, রাশিয়া সিরিয়ায় ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ মতো আচরণ করছে। তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘যদি তারা সন্ত্রাসীদের মত আচরণ অব্যাহত রাখে এবং সাধারণ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ত্যাগে বাধ্য করে। তাহলে আমরা এর ভয়াবহ জবাব দেব।’
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের একটি ব্রিটিশ সংস্থা বলছে, এতে ন’জন মারা যায়, এবং রুশ বিমান থেকেই ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। বিমান হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছেÑ যাতে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত ভবনটি থেকে ঘন কালো ধোঁয়ার কু-লী উঠছে। ওই ভিডিওতে একজন লোককে ঘটনার বর্ণনা দিতে শোনা যায়।
তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন। এমএসএফের হাসপাতালে রাশিয়ান বিমান হামলা করেছে। এটা দ্বিতীয় হামলা।
আরো খবর পাওয়া গেছে, তুরস্কের সীমান্তের কাছে সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত গ্রামের একটি হাসপাতালে এবং একটি স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। আজাজ নামের এই জায়গাটিতে আলেপ্পো থেকে আসা সিরিয়ান শরণার্থীদের ভিড় বাড়ছে। আর এখানেই তুরস্কের বাহিনী একটি কুর্দি মিলিশিয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে।
এই মিলিশিয়াদের তুরস্ক সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করলেও তারা আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পায়, কারণ তারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিত্র মনে করে। তারা সম্প্রতি এই এলাকায় অবস্থান সংহত করছিল। তুর্কী প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোলু বলেছেন, আজাজ কুর্দিদের হাতে চলে যাক এটা তার সরকার কখনোই হতে দেবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।