পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ছোটবেলা ঈদের চাঁদ দেখলে যে আনন্দ হতো, তার চেয়ে বেশি আনন্দ লাগছে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ উচ্ছ্বসিত। যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল তারা এখন লজ্জিত। যেসব বিদেশি সংস্থা অর্থায়ন বন্ধ করেছিল, তারাও আজ পদ্মা সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত।
গতকাল শনিবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবারের দিনটি সমস্ত বাঙালির জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষের মধ্যে যে আনন্দ-উল্লাস ছিল। দীর্ঘ ৫০ বছরের পথচলায় বাঙালি যেন আজ আবার সেই একইরকম আনন্দ-উল্লাস করছে।
ড. হাছান বলেন, ছোটবেলায় দশ-এগারো বছর বয়সে যখন মাঠের কোণে দাঁড়িয়ে বা বাড়ির ছাদ থেকে ঈদের চাঁদ দেখতাম, তখন যে আনন্দ হতো, ঠিক সেরকম আনন্দ। দেশের সব মানুষ আজ খুশি। যদি সুযোগ থাকতো, দেশের সব মানুষ এখানে এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হতো। বাঙালি হার না মানা জাতি উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমরা যে হার মানি না, সমস্ত ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা দেখিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যাও দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি মাথা নত করে না। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে বাঙালি মাথা উঁচু করেই চলতে পারে। সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে লক্ষে পৌঁছাতে পারে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দেশি-বিদেশি সবাই শুভেচ্ছা জানালেও বিএনপি জানাতে পারেনি। পদ্মা সেতু নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান অভিনন্দন জানালেও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বিএনপি এখনো শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন জানায়নি। এটি তাদের চরম রাজনৈতিক দৈন্যতা। এই পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কোটি মানুষকে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত করবে। ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর উদ্বোধনের পরপরই দাবি ওঠে পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণের। তবে প্রমত্তা পদ্মাকে বাগে এনে এর বুকে ইস্পাত-কংক্রিটের কাঠামো নির্মাণ সহজ ছিল না। সেই প্রকৌশল দিক বাদ দিলেও পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়েও তৈরি হয় প্রতিবন্ধকতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।