পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্যোগে আওয়ামী লীগই মানুষের পাশে থাকে। এটি আমাদের দলের একটি কালচার, একটা রীতি, কারণ রাজনীতি তো দেশ ও মানুষ সেবার জন্যই। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখনও আমরা মানুষের পাশে ছিলাম।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সিলেট-সুনামগঞ্জ-নেত্রকোণায় বন্যাপ্লাবিত এলাকা পরিদর্শন শেষে বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এ সব কথা বলেন। হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা। তিনি ছুটে গেছেন, সেখানে ত্রাণ তৎপরতায় রত প্রশাসন ও আমাদের দলীয় নেতৃবৃন্দকে উৎসাহ দিয়েছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বস্তির কথা হচ্ছে, আজকে সেখানে কোনো বৃষ্টি হয়নি। আগের তুলনায় বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় ৪-৫ ফুট পানি নেমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সিলেটের প্রধান নদীগুলো ড্রেজিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন কারণ পলি জমার কারণে নদীর ক্যারিং ক্যাপাসিটি বা নাব্যতা কমে গেছে।
ড. হাছান বলেন, আপনারা জানেন যে, ১৬ তারিখে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর সেদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী সাথে সাথে ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, সিভিল প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে কাজে লাগিয়েছেন এবং একইসাথে আমাদের দলের নেতাকর্মীকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। আজকে আমরা গিয়ে সরেজমিনে দেখলাম এবং স্থানীয়রা তাদের অভিব্যক্তিতে জানালেন যে, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নিজেরা পানির মধ্যে থেকেও মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি এবং আমাদের দলীয় নেতাকর্মী সবাই সম্মিলিতভাবে বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধার করা, খাবার পৌঁছানোর কাজগুলো করেছে। সিলেটে আমাদের একজন নেতা জানিয়েছেন যে, তার নিচের তলা পানিতে ডুবে গেছে, দোতলায় নিজেরা উঠেছে এবং তিনতলায় সমস্ত মানুষকে আশ্রয় এবং খাবার দিচ্ছে। সেনাবাহিনীর জিওসি বলেছেন যে, বন্যার মধ্যে জায়গা চেনা যাচ্ছে না কারণ হাওড়ের মধ্যে কোথায় রাস্তা ছিলো সব মিলিয়ে গেছে,এমনকি দ্বীপ পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায় না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এবং আমাদের নেতাকর্মীরা তাদেরকে গাইড করেছে। সুনামগঞ্জের ডিসি, এডিসি একটি নৌকা ঠেলে এক প্রসূতি মা, তার স্বামী আর একজন মহিলাকে ডিসির অফিসে এনেছেন। সেখানে সন্তানের জন্ম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার নাম রেখেছেন প্লাবন।’
বন্যা নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন মন্তব্য বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সিলেটের মেয়রকে তার দলের কাছ থেকে কি পেয়েছে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি কিছু বলতে পারলেন না। কারণ তার দল বিএনপির পক্ষ থেকে কিছুই করা হয় নাই, তাদের নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকায় বসে বসে তারা লম্বা লম্বা বক্তব্য দেয়, বাকবাকুম করে, ওখানে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা জানেই না যে, সিলেট অঞ্চলের সব মন্ত্রী এবং এমপি তাদের এলাকায় গেছেন। শুধু করোনাক্রান্ত বলে পরিকল্পনামন্ত্রী ঢাকায় রয়েছেন। আর রিজভী সাহেবের ‘প্রধানমন্ত্রীর কারণে বন্যা’ এমন উদভ্রান্তের মতো বক্তব্যে মনে হচ্ছে, তার ভাষায় আসামের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং সিলেট অঞ্চলে ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের জন্যও প্রধানমন্ত্রী দায়ী। তার কথায় তো তাই দাঁড়ায়। সবকিছুতে সরকারকে দায়ী করার বাতিকের কারণে তারা আসলে কোথায় কি বলবে বুঝতে পারে না
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।