পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শতবছরের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশ। দেশের ২০ থেকে ২৫টি জেলার কোটি মানুষ বন্যাকবলিত। ভারত থেকে নেমে আসা বানের পানিতে বিপর্যস্থ অবস্থায় সিলেট। বন্যার তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে অবকাঠামো। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট। বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। অথচ নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে দেশের ওষুধ শিল্প মালিকরা। বাংলাদেশে অসংখ্য ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বিদেশেও ওষুধ রফতানি হচ্ছে। ব্যবসায়িকভাবে সফল ওষুধ কোম্পানিগুলো দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। বন্যা এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা করছেন। অথচ ওষুধ শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা এখনো ঘুমিয়েই রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি খাবার স্যালাইন ও পানি বিশশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটের পাশাপাশি বন্যাদুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবায় ফার্মাটিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত।
এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে বিভাগের সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। যদিও শুধু সিলেট বা সুনামগঞ্জই নয়; দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি বেড়েই চলছে। বন্যায় ত্রাণে কিছুটা চিড়া, মুড়ি, চাল, ডালসহ কিছু খাবার থাকলেও ওষুধ মিলছে না। কেউ কেউ খাবার স্যালাইন ও পানি বিশশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাচ্ছেন। যদিও তা পাচ্ছেন সীমিত সংখ্যক পরিবার। পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগব্যাধিও। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য পরিষেবাও। বন্যায় সাপের কামড়ে ও পানিতে ডুবেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া বন্যা-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহেও সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সব মিলিয়ে বন্যা-পরবর্তী এক মাস ওই অঞ্চলের মানুষকে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতে পারে বলে ধারণা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঘরবাড়ি, শস্যক্ষেত, গবাদি পশুর ক্ষতির পাশাপাশি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কাও থাকে। বন্যার সময় ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ, শ্বাসনালির প্রদাহসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। কখনো কখনো রোগগুলো মহামারির রূপ নেয়। তাদের মতে, বন্যার সময় ময়লা-আবর্জনা, মানুষ ও পশুপাখির মলমূত্র এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা একাকার হয়ে এসব উৎস থেকে জীবাণু বন্যার পানিতে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে বন্যায় সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার বেড়ে যায়। তাই বন্যার সময় অবশ্যই পানি ফুটিয়ে পান করাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করতে হবে।
সূত্র মতে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি যা দেখা যায়, তা হলো ডায়রিয়া। তবে অনেক এলাকায় যৎসামান্য ত্রাণ গেলেও সেখানে স্যালাইনের দেখা পাওয়া যায় না। বন্যায় আরো দেখা যায়, জ্বর, নিউমোনিয়া, পেটের পীড়া ও চর্মরোগের মতো রোগ ব্যাধি। এসব রোগের ওষুধ নেই ত্রাণের থলিতে, তাই স্বভাবতই রোগে ভুগে কষ্ট করছেন বন্যার্তরা। অথচ দেশের ওষুধ শিল্প আজ সমৃদ্ধ। স্বাধীনতার ঠিক পরে বাংলাদেশ ৭০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করত। অথচ বর্তমানে দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বিশ্বের প্রায় দেড়শ’ দেশে বাংলাদেশ উৎপাদিত মানসম্মত ওষুধ রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশের এ অগ্রগতি গর্ব করার মতো। পাশাপাশি বিশ্বে স্বল্প সময়ের মধ্যে যে সকল কোম্পানি ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের মধ্যে ওষুধ কোম্পানি রয়েছে প্রথম সারিতে। এ তালিকায় বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোও পিছিয়ে নেই। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের ওষুধ শিল্পে যেসব প্রতিষ্ঠান তারা হলোÑ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা লিমিটেড, এসি আই লিমিটেড, অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড, এরিস্টো ফার্মা লিমিটেড, রেডিয়ান্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনিমেড এন্ড ইউনিহেলথ্ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড প্রমুখ। দেশে বর্তমানে ২৮৪টি রেজিস্ট্রার্ড ওষুধ কোম্পানি রয়েছে। এদের মধ্যে ১৫৪টির কার্যক্রম চলমান। বর্তমানে দেশের ওষুধের বাজার ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। প্রতিবছর এসব ওষুধ কোম্পানি ওষুধ বিক্রি করে বড় অঙ্কের মুনাফা করে। অথচ দেশের দুর্যোগের সময় এসব কোম্পানিগুলো হাত গুটিয়ে বসে আছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বিচ্ছিন্নভাবে খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বন্যার্তদের সহায়তায় সরবরাহ করলেও তা খুবই সীমিত। অথচ চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনের সব অর্থে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ নিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, বন্যার্তদের বিপাকে আছে। মানবিক কারণে হলেও তাদের পাশে দাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের মহাপরিচালক নিজ উদ্যোগে ওষুধ শিল্প সমিতিকে বন্যাদুর্গতদের সহায়তার জন্য বলেছেন। ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি জানান, আশা করছি ওষুধ সঙ্কট হবে না।
অবশ্য বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান ইনকিলাবকে বলেছেন, বন্যার্তদের সহায়তায় ইতোমধ্যে ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছি। প্রয়োজনে আরো পাঠানো হবে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা শুধু ওষুধই নয়; বন্যার্তদের সহায়তায় ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে আমাদের সভাপতি সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন ইতোমধ্যে এফবিসিসিআই’র মাধ্যমে ৩০০০ বস্তা খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছে। যার মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ২৫টি খাবার স্যালাইন দিয়েছে।
এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের ফার্মা ইউনিট বন্যার্তদের সহায়তায় কিছু একটা করছে। তবে কি করছে অমি সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের জেনারেল ম্যানেজার আশরাফ উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, যে কোনো দুর্যোগেই আমরা সাধ্যমত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এবারও আমরা সাধ্যমতো সরকারকে ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহায়তা করছি। পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিভিন্ন ফোরাম ও ফাউন্ডেশন বন্যাদুর্গতদের চিকিৎসাসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছে সেখানেও আমরা অবদান রাখছি।
বন্যায় পানিবন্দি একাধিক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে আছেন তারা। বন্যায় রোগ ব্যাধির অন্যতম কারণ বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট। আর রান্না ঘর ডুবে যাওয়া, জ্বালানি কাঠ ও লাকড়ির সঙ্কটে নিত্যপ্রয়োজনীয় রান্না ও পানি ফোটানোর পর্যাপ্ত সুযোগও পাচ্ছেন না বন্যার্তরা। তাই খাবার পানি বিশুদ্ধ করার জন্য এ সময় প্রয়োজন বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন এলাকার বন্যার্তদের মধ্যে এই পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে, তবে চাহিদার তুলনায় এটি খুবই অপ্রতুল।
বানের পানিতে ভাসছে লাখ লাখ মানুষ। গতকাল সিলেট-সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও কমেনি বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ। বানের পানিতে বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় এবং খাবার সঙ্কটে অর্ধাহার-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়াও অনেক হাসপাতালও ডুবে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে বন্যাকবলিতরা। এ ছাড়া সিলেট বিভাগে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এখনো পানির নিচে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বন্ধ রয়েছে বিভাগের বিভিন্ন রোগনির্ণয়ের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় আক্রান্তদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য ২০০টি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সিলেটে জেলা ও উপজেলার জন্য পৃথক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। টিমে চিকিৎসক, নার্সের পাশাপাশি সিভিল সার্জন, ডিসি, এসপি ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও আছেন। বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবায় ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোলরুম করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকা মনিটরিংয়ের জন্য ঢাকায় একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীর অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের নিচতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। গতকাল পানি কমতে শুরু করলেও এখনো শহরের অধিকাংশ এলাকায় পানি রয়েছে। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভবনে পানি প্রবেশ করায় বন্ধ রাখা হয়েছে নিচতলার সেবা কার্যক্রম। বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর দিয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), সাধারণ অস্ত্রোপচার, শিশু বিভাগের কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদরসহ ১২টি উপজেলার সব হাসপাতাল, উপজেলা হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। সিলেটের মাত্র তিনটি উপজেলার হাসপাতাল পানিতে নিমজ্জিত হয়নি। টিলার ওপরে থাকায় জৈন্তাপুর, বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ইনকিলাবকে বলেন, বন্যাদুর্গত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং সেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য যা প্রয়োজন অধিদফতর সবই করছে। প্রচুর ওষুধ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবারও ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রদান করা হয়েছে। উপজেলাগুলোতে ওষুধের বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএলকে প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে প্রয়োজনী ওষুধ যেমন- খাবার স্যালাইন ও খাবার বিশুদ্ধ পানি ট্যাবলেটসহ সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সময় সাপের কামড়ে ও পানিতে ডুবেও অনেক শিশুর মৃত্যু হয়। এটা রোধে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অনেক হাসপাতাল ডুবে গেছে, এজন্য আমরা বিকল্প যেসব হাসপাতালে রোগী নেয়া সম্ভব সেখানে নিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের মধ্যে যারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তাদের খাবার ও জরুরি অন্যান্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে। বন্যায় প্লাবিত অঞ্চলে আগামীতে যাতে ভাসমান হাসপাতাল চালু করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। একই সঙ্গে জরুরি সেবা চালু করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে সরকারের কাছে হেলিকপ্টারও চাওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।