পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য কোনো উৎসব করছে না-পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, সরকার এবং আওয়ামী লীগ বন্যার্তদের সাহায্য-সহযোগিতা না করে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসব নিয়ে মেতে আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, আমাদের দলের একজন নেতা ছাড়া এ বন্যার কারণে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। ছাত্রলীগ নেতা মৃত্যুবরণ করেছে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে। এটিই প্রমাণ যে আমাদের দল পাশে দাঁড়িয়েছে। উনারা পাশে দাঁড়াননি, এখানে বসে বসে বাগাড়ম্বর করেন, ভাষণ দেন। বিএনপি-জামায়াত আরো যারা বিরোধিতা করেছিল পদ্মা সেতু তো তাদের জন্য জ্বালার বিষয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে আরো বড় জ্বালা। সেই জ্বালা থেকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য কোনো উৎসব করছে না। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান করছে। যেহেতু পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় সারা বাংলাদেশের মানুষ আজকে উল্লাসিত। সারা বাংলাদেশের মানুষ পদ্মা সেতুকে শুধুমাত্র একটি সেতু হিসেবে নেয়নি-পদ্মা সেতু আমাদের জাতির সক্ষমতার-সম্মানের-মর্যাদার প্রতীক। জননেত্রী শেখ হাসিনার সক্ষমতার প্রতীক। এখানে একটি জনসভা হবে আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, উনারা চান না পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হোক। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বানচাল করার জন্য তো তারা নানা ধরনের পরিকল্পনা করেছিল। অনেক পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হয়েছে এবং কিছু কিছু তারা করতে সমর্থ হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যা, সিলেটের বন্যার পানি ইতোমধ্যে মধ্যাঞ্চলে চলে এসেছে, এটি স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণাঞ্চলে যাবে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলে ভবিষ্যতে খোদা না করুক, এ ধরনের কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে সেই বন্যা মোকাবিলা করতেও সহায়তা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। আমাদের দলের নেতা-কর্মীরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ত্রাণ তৎপরতায় এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে। সেই কারণে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে। উপদেষ্টামণ্ডলীরও অনেকে, সংসদীয় দলের বহু সদস্য মৃত্যুবরণ করেছে। তারা দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না, শুধুমাত্র বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়। তারা করোনাকালে কিছু ফটোসেশন করেছিল। এখনো হয়তো আজকের এই বক্তব্যের পর তারা কিছু ফটোসেশন করবে কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষের পাশে তারা দাঁড়াবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।