পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একসময় পাহাড়ের ঢালু আর খালের পাড়ে বনজ ফল লটকন চোখে পড়লেও সময়ের ব্যবধানে এর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। টক-মিষ্টি ফল লটকন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পার্বত্য জেলার স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে দেশের সমতলের বিভিন্ন জেলাতেও চাহিদা অনেক বেশি।
যতই দিন যাচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন জনপদে লটকনের গাছের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেস করে আম-লিচু চাষে পরিচর্যাসহ মোটা অঙ্কের পুঁজি লাগলেও লটকন ফলে কোনো পুঁজি বা পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। ফলে কম পরিশ্রমে এই ফলটি অধিক আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে।
পাহাড়ে মধু মাসের ফল আম-লিচুর বাণিজ্যিক চাষাবাদ হলেও পিছিয়ে আছে লটকন। স্থানীয় বাঙালিরা ফলটিকে লটকন নামে চিনলেও চাকমা ভাষায় ‘পচিমগুল’, মারমা ভাষায় ‘ক্যানাইজুসি’ ও ত্রিপুরা ভাষায় ‘খুচমাই’ নামে পরিচিত সুমিষ্ট এ ফল।
মধ্য জুন থেকে লটকন পাকতে শুরু করে। একই সময়ে বাজারেও আসতে শুরু করে ফলটি। এটি নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল একটি কৃষি পণ্য। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ডালে থোকায় থোকায় লটকন ফল ঝুলতে দেখা যায়। টক-মিষ্টির জন্য এই ফলটি ছোট-বড় সবার কাছেই প্রিয়।
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা, রামগড়, দীঘিনালা, গুইমারা ও পানছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে স্বল্প-পরিসরে লটকনের চাষাবাদ হচ্ছে। আবার ব্যক্তি উদ্যোগেও লটকনের চাষ হচ্ছে। স্থানঅয় বাজারে লটকন পাওয়া যাচ্ছে। দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
সরেজমিনে মাটিরাঙা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, বাড়ির আঙিনা আর পাহাড়ের ঢালুতে গাছে গাছে ঝুলছে লটকনের সোনালী রঙের থোকা। মাটিরাঙার নবীনগর গ্রামের মো. চান মিয়ার বাড়ির পাশেই পাহাড়ের ঢালুতে মাঝারি আকারের অর্ধশতাধিক লটকন গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে লটকনের ব্যাপক ফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার লটকনের ফলন কম হয়েছে। ফলন কম হলেও বিনা পরিশ্রমে খুব কম নয়। ইতোমধ্যে স্থানীয় পাইকাররা লটকন কেনার জন্য খাগড়াছড়িতে আসা শুরু করেছেন। এক একটি গাছের লটকন সর্বনিম্ন তিন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা যাবে বলেও তিনি জানান।
দুর্গম পাহাড়ি পাড়া তৈাকাতাং থেকে মাটিরাঙা বাজারে লটকন বিক্রি করতে আসা অনিল বিকাশ ত্রিপুরার জানান, তার বাড়ির আশেপাশে অন্তত ৩০টি গাছে লটকন ধরেছে। চলতি বছর তিনি লটকন বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করবেন। এই চাষি স্থানীয় বাজার মূল্যেও সন্তুষ্ট।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মর্ত্তুজা আলী ইনকিলাবকে বলেন, লটকন গাছ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। জেলার প্রায় সকল উপজেলাতেই ব্যক্তি উদ্যোগে কমবেশি লটকন চাষ হচ্ছে। বেশি সংখ্যায় গাছপালা ও ছায়া থাকায় পাহাড়ি এলাকার মাটি লটকন চাষে খুবই উপযোগী। কম পুঁজি ও পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়ায় স্থানীয় চাষিরা লটকন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।