Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বৃক্ষমেলা

কৃষক লীগের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি গণভবন প্রাঙ্গণে গাছ লাগিয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলেন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে চলছে মাসব্যাপি বৃক্ষমেলা। বন অধিদপ্তর আয়োজিত এ মেলা গত ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ৪ জুলাই পর্যন্ত। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর রাজধানীতে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়নি। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় দুই বছর পর রাজধানীতে বৃক্ষমেলা বসেছে। এরইমধ্যে প্রকৃতিপ্রেমীদের পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে এ বৃক্ষমেলা। বলা যায় আয়োজনটি বৃক্ষপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ, সার, গাছ পরিচর্যার যন্ত্রপাতি বিক্রিও হচ্ছে বেশ।

বৃক্ষমেলায় ১১০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার চারাগাছ বিক্রি হচ্ছে। মেলা ঘুরতে লাগছে না কোনো অর্থ। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকছে বৃক্ষমেলা। ইতোমধ্যে বৃক্ষমেলা বেশ জমে উঠেছে। দূরদূরান্ত থেকে বৃক্ষপ্রেমীরা আসছেন ছাদ বাগান ও অন্দর (ইনডোর) সজ্জার জন্য বিভিন্ন গাছের চারা কিনতে। মেলায় অংশ নেওয়া নার্সারির বিক্রয়কর্মীরা ঘুরে ঘুরে ক্রেতাদের দেখাচ্ছেন বিভিন্ন গাছ। গাছের নাম, কত দিনে ফল বা ফুল আসবে সেগুলো বলছেন তারা। ক্রেতারাও গাছ দেখছেন, কীভাবে পরিচর্যা করতে হবে, কী সার দিতে হবে জেনে নিচ্ছেন। পছন্দ আর দামে মিললেই গাছ কিনে ফেলছেন।

অংশগ্রহণকারীরা জানান, মেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফলের গাছ। লেবু, আম, পেয়ারা, কমলা, কামরাঙ্গা, চালতা, কতবেল, জাম্বুরার গাছ বেশি বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব গাছ। তবে বড় গাছ বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। অন্যদিকে ঘর সাজানোর বিভিন্ন গাছ মানিপ্লান্ট, অর্কিড, ক্যাকটাসেরও চাহিদা বেশ। ৪৫০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে এসব গাছ।

বন অধিদফতরের কর্মকর্তা ইশিকা পাল বলেন, গরমের কারণে সকালে মেলায় উপস্থিতি একটু কম থাকে। তবে দুপুরের পর দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এ পর্যন্ত চার লাখের অধিক গাছ বিক্রি হয়েছে। যা টাকার অংকে দুই কোটি ২০লাখ টাকা।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, মেলায় আগতরা আম আর পেয়ারা গাছ প্রচুর কিনছেন। নারীরা ছোট ছোট গাছ কিনছেন। বিশেষ করে ঘর সাজানোর গাছ। মেলার প্রথম দিনেই ২০ লাখ ৭৪ টাকার গাছ বিক্রি হয়েছে। এতে বোঝা যায় মানুষের মধ্যে গাছ কেনা ও পরিচর্যার একটা ভালো ইচ্ছা আছে।

এ ছাড়া, প্রতিটি স্টলে (নার্সারি) কৃষি যন্ত্রপাতি ও বাহারি জাতের গাছ রয়েছে। স্টলের বাইরে খোলা মাঠে থরে থরে সাজানো রয়েছে নানান প্রজাতির গাছ। আম থেকে শুরু করে ডাস্ট গোল্ডেন আপেল সব ধরনের গাছ। রয়েছে শাপলা, পদ্ম থেকে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ। আছে ভেষজ ও মশলা জাতীয় গাছের চারাও।
মহুয়া নার্সারির মালিক মনসুর বলেন, বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফল এখন দেশেই চাষ হয়, দেশের মাটিতেই হয়। প্রতিবারের মতোই এবারও ফল গাছের চাহিদা বেশি। তবে বড় গাছ যেগুলো আট হাজার টাকার ওপরে সেগুলো বিক্রি কম হচ্ছে। ফলের মধ্যে আম, লেবু, পেয়ারা আর ফুলের মধ্যে জবা, গোলাপ, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ এইগুলো বিক্রি হচ্ছে। বড় গাছের মধ্যে অন্যান্য বছর আম গাছের চারা বিক্রি হতো, তবে এবার বিক্রি কম।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল গণভবনে গাছের চারা লাগিয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপি বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন। তিনি গণভবন প্রাঙ্গনে ছাতিম, ছফেদা ও হরতকি গাছ রোপণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি তার দল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে পরিবেশ ও মানুষকে রক্ষায় যথাযথ ও সময় মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বৃক্ষ রোপণের প্রচারাভিযান চালাতে প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি করে গাছের চারা রোপনের সকলের প্রতি আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বৃক্ষমেলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ