পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ষড়যন্ত্র বন্ধ করে শেখ হাসিনার কাছে বিএনপির নেতাদের ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যাসহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিকল্পনায়। পরে জিয়ার অনুসারীরা হত্যা, ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
তিনি বলেন, খালেদা-তারেকের নীল নকশায় শেখ হাসিনাসহ পুরো আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশকে তারা নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল। সোমবার (১৩ জুন) আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির আয়োজনে ক্যান্টনমেন্ট থানা এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমরা অবাক হচ্ছি এজন্য যে, যারা এদেশে এতো বছর হত্যা আর নাশকতার রাজনীতি করে আসছে, তারা আবার মানবাধিকারের কথা বলে। তারা আজ গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করছে। অতীতের কৃতকর্মের জন্য যাদের আজ লুকিয়ে থাকার কথা, মাথা নিচু করে থাকার কথা, তারাই আবার আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকি দিচ্ছে।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের প্রতিটি ঘাস, লতাপাতা আর ধূলিকণার সঙ্গে মিশে আছে। আওয়ামী লীগ উৎখাত করা এতো সহজ নয়। কোটি কোটি মানুষ আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক । যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে তারা সর্বদা প্রস্তুত। দেশের মানুষ স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যা কিছু পেয়েছে, তার প্রতিটিই জাতির পিতার কারণে অথবা তারই কন্যা শেখ হাসিনার কারণে পেয়েছে। এ দুইজন ছাড়া আর কেউ বাঙালি জাতিকে কিছু দিতে পারেনি। তিনি বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, শেখ হাসিনাই আবার ক্ষমতায় আসবেন। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, কোনো লাভ নেই। এদের প্রতিটি ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেবো। আমাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। এদেশের জনগণ জানে, কারা প্রকৃত পক্ষে জনগণের বন্ধু।
তিনি বলেন, ড. ইউনুসসহ কিছু ব্যক্তি বিদেশে লবিস্টের মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এসব টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকা। কিন্তু একুশ শতকে ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্যান্টনমেন্ট থানার সভাপতি খলিলুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর নেতা কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) কানিজ ফাতেমা, ইয়াজউদ্দিন আহমেদ, ডা. মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নিল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।