পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নবীজিকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে সম্প্রতি ভারতে সংগঠিত ঘটনা নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর অবমাননা যেখানেই হোক, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। প্রতিবেশী দেশে যারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারত সরকার আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে, এ জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ।’
একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি বা উসকানির বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থার কথা বলেছেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে কোনো ধর্মের অবমাননাই আমরা বরদাশত করি না এবং অন্য দেশের ঘটনা নিয়ে কেউ যদি এ দেশে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালায়, সেটি কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য যা করেছেন, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি। আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরোনো দাবি স্বতন্ত্র ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা করেছেন। বহু বছরের পুরোনো কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিও শেখ হাসিনাই দিয়েছেন, পাশকৃতদের সরকারি চাকরিও দিয়েছেন। সারাদেশে স্থাপিত ১ লাখ মসজিদ ভিত্তিক মক্তবের আলেম ৫২’শ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যা কেউ কখনো ভাবেনি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৩ বছরে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, করোনার মধ্যেও দেশ এগিয়ে গেছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এ উন্নয়ন ও পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় বিএনপি ও তাদের কিছু মিত্রদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আবার ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে তাই সতর্ক থাকতে হবে।
এর আগে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এড. সৈয়দ শামস উল আলম হিরু সম্মেলন উদ্বোধন করেন। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমারুল কবির সাবিনের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুবকর সিদ্দিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি এবং কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও এড. সফুরা বেগম রুমি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।