পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে উৎপাদিত পোলট্রি ডিম ও ব্রয়লার গোশতের মান আরও উন্নত হবে এবং ভোক্তাদের জন্য তা আরও পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও নিরাপদ হবে। গতকাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত নিরাপদ ও টেকসই পোলট্রি উৎপাদন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনার ও পলিসি ডিসকাশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানানো হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিরাপদ পোলট্রি পালনে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমে গিয়ে প্রিবায়োটিক ও প্রোবায়োটিকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। নিরাপদ ডিম ও মুরগির গোশত উৎপাদনে পোলট্রি শিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান খুবই সুস্পষ্ট উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিরাপদ পোলট্রি পালন একটি বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। পোলট্রি চেইনকে নিরাপদ রাখতে দেশীয় পোলট্রিবিজ্ঞানী ও গবেষকরা যথেষ্ট অবদান রাখছেন। ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, শিশু থেকে বয়স্ক সবাই পোলট্রি ডিম ও গোশত খায়। সে কারণেই ডিম ও ব্রয়লার গোশতকে অধিকতর মানসম্পন্ন ও নিরাপদ করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, নিরাপদ পোলট্রি পালনকে উৎসাহিত করতে হলে খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে এবং ছোট-বড় সব ধরনের বাণিজ্যিক ও ব্রিডার খামার এবং ফিডমিলগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। শুধু খামারিদের সচেতনতাই যথেষ্ট নয়, ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ওয়াপসা-বিবির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুব হাসান বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পোলট্রি ও ফিশ ফিডের রফতানি শুরু করেছে। পোলট্রি গোশক ও গোশতজাত পণ্য রফতানির জন্য প্রস্তুতি চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের জায়গা করে নিতে হলে পণ্যের মান আরও বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে।
ওয়াপসা-বিবির নির্বাহী সদস্য শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, নিরাপদ পোলট্রির উৎপাদন নিশ্চিত করতে হলে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। করোনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে জানিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পোলট্রি বিশেষজ্ঞ গর্ডন বাটল্যান্ড বলেন, দক্ষিণ আমেরিকায় শস্যের উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রভাবও পড়েছে। করোনার কারণে প্রায় সব দেশের সরকার ভর্তুকি দিতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়ায় এখন কর বাড়াতে হচ্ছে। এতে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে উৎপাদিত গোশতের প্রায় ৪৫ শতাংশ পোলট্রি থেকে আসে। বর্তমানে দেশি মুরগি কিংবা ডিম তেমন একটা পাওয়া যায় না। তাই পোলট্রি মুরগির ওপরই নির্ভর করতে হয়। গরু-খাসির গোশতরে দাম যেখানে হুহু করে বাড়েছে, সেখানে বাজারে কমেছে মুরগির গোশতের দাম। এটিই এখন গরিবের আমিষ। তাই আপামর মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে সাশ্রয়ী মূল্যের এ প্রোটিনকে আরও নিরাপদ করতে হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক খামারি ও পোলট্রি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. এস ডি চৌধুরী, প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, ড. নাথু রাম সরকার, ড. এম এ ছালেক, প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।